বিদায়ী বসন্তের এই পড়ন্ত বিকেলে,
বসে আছি মুক্ত সমীরণে,
আনমনে ভাবছি শুধু তোমার কথা,
এই হৃদয়ে নিয়ে লুকানো সব ব্যথা।
প্রিয়তমা, কখনো কি মনেপড়ে তোমার?
সেই স্বপ্নিল স্মৃতিময় দিনগুলির কথা,
যেদিন আকাশ সেজেছিলো নীলাম্বরী সাজে,
রক্তিম ছিলো পলাশ শিমুল ডালে ডালে,
তুমি এই হৃদয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে
তীরের মতো বিঁধেছিলে আমার বুকে।
প্রিয়তমা, মনেপড়ে কি সেই দিন?
যে দিন সূর্য ছিলো অস্তাচলে,
তাকিয়ে ছিলাম তোমার কালো দুটি চোখ
আর মায়া ভরা মুখপানে।
যে দিন কানে কানে বলেছিলাম,
প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যের মতো
সুমধুর একটি গানের কলি,
তোমাকে, শুধু তোমাকে ভালোবাসি।
প্রিয়তমা, ভুলে গেছো কি সেই দিন?
যে দিন রক্তিম পুষ্পে ভরা কৃষ্ণচূড়ার নিচে,
তোমার হাতের অঙ্গুলি ছুঁয়ে,
বসেছিলাম অনেকটা সময় ধরে।
যে দিন গগনে ছিলো রূপালি চাঁদ,
নিস্তব্ধ কুয়াশা ঘেরা জ্যোৎস্না রাতে,
শুধু তুমি ছিলে, আমি ছিলাম;
আলিঙ্গন আর চুম্বন শিহরণে।
প্রিয়তমা, মনেপড়ে কি সেই দিন?
যে দিন দুজন শীতের শেষে,
সৈকতের বালুচরে অকারণ অভিমানে,
তাকিয়ে ছিলাম ঐ দূর গোধূলির পানে।
যেদিন সাগরের গভীরতা দেখবো বলে,
আমি যতোই এগুচ্ছিলাম সমুদ্রের গভীরে,
তুমি দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে,
আমার এই অশান্ত হৃদয়ের জমিনে।
একদিন, জানি না কি ভুলে?
হারিয়ে গেলে এই হৃদয়টা শূন্য করে!
আমার রক্তিম ভালোবাসা ফুলের মতোই
ঝরে গেল তোমার হৃদয় থেকে,
নিষ্ঠুর এই ধরিত্রীর অসীম শূন্যতায়,
আজ আমি একা, বড় একা;
তোমারই জন্য বিরহ কাতর,
শুধু তোমারই প্রতীক্ষায় বসে থাকি একা,
বসন্তের এই পড়ন্ত বিকেলে।