আমার জীবৎকাল এখন কালের গহ্বরে পড়ন্ত
অনাদরে কেটেছে কত বসন্ত
তবুও নিত্য আমি রেলগাড়ির মতোই ছুটন্ত
ধরণির বুকে ঘুরছি দুরন্ত
জীবনের সূর্যটা অস্তাচলে আস্তে আস্তে ডুবন্ত
মনোজগৎ পড়ে আছে ঘুমন্ত।
প্রতিদিন দেখে দেখে গোধূলির মায়াময় দিগন্ত
খুঁজেছি অচিন পাখি জীবন্ত
পাইনি শুধু দেখেছি রুদ্র অহমিকায় ভরন্ত
যেন হৃদয়হীন তনুর সামন্ত
এমনই খেলায় কেটে গেছে কত হেমন্ত
শূন্যতাই যেন অনাদি-অনন্ত।
আজ আমি বড্ড ক্লান্তির অবসাদে চলন্ত
দিশেহারায় পুড়ছি যেন জ্বলন্ত
পাষাণের বোঝা বইতে বইতে শেষ পর্যন্ত
কবে হবে এর অন্ত
দয়াময় দাও না ছড়িয়ে জীবনীশক্তি অফুরন্ত
তারই পরশে হই প্রাণবন্ত।