সুধাতে গিয়ে শিক্ষাগুরুর কথা
ভিজে আসে বার বার চোখের পাতা।
সেকালে হাত ধরে স্কুলের পথে
বলতেন বাবা যেতে যেতে।
মন দিয়ে পড়বে স্কুলে
শুনবে কথা গুরুজী যা বলে।
বলবেনা কথা মুখে মুখে
শেখাবেন তিনিই সুখে দুঃখে।
কোনভাবে দিলে মনকষ্ট
হয়ে যাবে একেবারে পথভ্রষ্ট।
আরও অনেক উপদেশ বানী
শোনাতেন, শিক্ষক যে মান্নীগুনী।
বলতে বলতে স্কুলে পৌঁছে
বলতেন শিক্ষককে সালাম উচে।
আনলাম পুত্র মোর শিখবার তর
মাংস আপনার হাড় আমার।
আজিকার দিনে এসবের নেই বালাই
কিছু হলে ছাত্ররাই ভাবে শিক্ষককে দিবে ধোলাই।
আ হা হা এ কি যুগ এ কি জমানা
শিক্ষকেরে দিতে সম্মান নেই ভাবনা।
বাবা ছাড়িলেন মোর ইহকাল
নইলে দেখাতাম গুরুজীদের হাল।
মার্চ/২০২০ এ হল লকডাউনের শুরু
সেসাথে বেকার হল লাখ শিক্ষাগুরু।
বছর অধিক থাকল স্কুল বন্ধ
কবে খুলবে তা নিয়েও ছিল দিধাদ্বন্ধ।
ছিল না অনেকের কোন ভাতা বেতন
হা পিত্যেষে ছিল মানবেতর জীবন।
মন্ত্রী এমপি শত সহস্র নেতা
ভাবেনী সকল শিক্ষকের কথা।
এদের মত লোকের সন্তান তাদের ছাত্র
ভেবে, কত শিক্ষকের ভিজেছিল নেত্র।
লকডাউনের যেই হল শিথিলতা
হয়ে গেল অভিভাবক অনেকের মাথাব্যাথা।
সন্তান তার পড়াতে চাইলে স্কুলে
প্রাইভেট কোচিং পড়বে গলায় অটো ঝুলে।
দিলে তাদের মনমত প্রাইভেট কোচিং ফি
পরীক্ষায় চাহিদা মত নম্বর দিয়ে করে কেউ ঝি ঝি।
প্রাইভেট কোচিং ফি দিনে দিনে হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া
অভিভাবকের অনেকে দেখছে চোখে ধোঁয়া ধোঁয়া।
এ কেমন মোদের একালের শিক্ষাগুরু
স্কুলে পড়াতে সন্তান, কাঁপে বুক, অভিভাবকের, দুরু দুরু।