নিভৃতে নীরিহ নিপীড়িতের নিরব ক্রন্দন
আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়ে বাজছে যখন তখন।
ব্যাথিতের ব্যাথায় বাড়ছে বারে বারে বেদন
করছে হৃদয় জুড়ে তোলপাড় হচ্ছে স্পন্দন।

খেতে না পারা মানুষ চোখের জল ফেলছে
এক মুঠো ভাতের জন্য দারে দারে ঘুরছে
বেঁচে থাকতে মহামারীর মহা আতংককে ভ্রূকুটি দেখিয়ে
রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে
বাধ্য হচ্ছে বাসে উঠে ডাবল ভাড়া দিতে
বাধ্য হচ্ছে কনট্রাক্টরের যাই নয় তাই আচরণ দেখতে।

গাদা গাদা পুস্তক পড়ে যারা অনেক গুলো ডিগ্রী নিয়েছে
কর্মের অভাবে চার দেয়ালে তারা বন্দী হয়ে আছে
বেঁচে থাকতে মহামারীর মহা আতংককে ভ্রূকুটি দেখিয়ে
রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছে
বাধ্য হচ্ছে না খেতে পেয়েও মলিন মুখে বেঁচে থাকতে  
কর্মহীন হয়েও নিয়মিত বাসা ভাড়া দিতে

শিক্ষিত বেকার হতভাগা যুবক
যাদের কর্ম নেই, নেই যাদের জন্য কর্মউদ্যোগ
অপরের টিটকারি শুনতে তারা আজ বাধ্য হচ্ছে
বাধ্য হচ্ছে    
মূর্খের ফালতু টাকার অহংকার দেখতে
অর্থ অভাবে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে।

যারা স্বাধীন দেশের পরাধীন মানুষ
খুদার কষ্টে খুদার জ্বালায় হচ্ছে নিত্য বেহুস  
একটুখানি খাবারের চুরি করতেও হচ্ছে বাধ্য
হচ্ছে এথায় হেথায়  
বেঁচে থাকার জন্য শং সেজে ভং করতে
রাত হলে রাস্তার পাশে ফুটপাতে শুয়ে পড়তে।
  
যারা পারে না মুখ ফুটে খুদার কথা বলতে
পারে না রিলিফের জন্য লাইনে দাড়াতে
একটুখানি খাবারের জন্য মরে যেতে যারা বাধ্য হয়
বাধ্য হয়  
নিরবে নিভৃতে চার দেয়ালে বন্দী হয়ে কাঁদতে
খুদার জ্বালায় পেটের নিচে বালিশ চাপা দিয়ে থাকতে।

যেই মা দশ মাস দশ দিন সন্তান পেটে ধরেছিল
নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাইয়েছিল  
সন্তানের জন্য রাতের পর রাত জেগেছিল
সেই মা আজ
বুড়ো বয়সে সন্তানের অযত্নে অবহেলায় থাকছে রাস্তার ধারে
ফুটপাতে বসে চোখের পানি ফেলছে আর ভিক্ষা করছে।