কেন চলে গেলে হে নজরুল ,
এই মায়াময় ধরনী ছেড়ে ?
কেন চলে গেলে তোমার পরিজনদের
এ নগ্ন সমাজের বুকে;একাকী রেখে ?
হাজার হাজার তারার মাঝেও
এখনও আমি প্রত্যক্ষ করি
সেই জলন্ত আগুনের গোলাকে ।
যে গোলাই একদিন শিখিয়েছিল
প্রতিবাদের নিঃস্বার্থ ভাষা ,
শিখিয়েছিল বিদ্রোহের জন্য কলরব
আর শিখিয়েছিল লড়াই করে –
বেঁচে থাকা আর বাঁচিয়ে রাখার পন্থা ।
আমি ভালবাসি সেই নজরুলকে ,
যে একদিন মাথা পেতে নিয়েছিল
সমস্ত প্রতিবাদের মিথ্যা শাস্তিগুলোকে ।
বন্দি থেকেছে শুধু ক্ষতবিক্ষত শরীরটা
কিন্তু প্রতিবাদ পিপাসু মন
তাড়া করে বেড়িয়েছে –
ফাটকের আনাচে-কানাচে ।
বন্ধ হয়েছে হয়তো কাগজে লেখা
তবুও থেমে থাকেনি কলমের গলা ।
তুমি নেই আজ তাই,
নগ্ন হচ্ছে প্রতিবাদের সাজ ।
হে নজরুল , তুমি কি জানো
প্রতিবাদ কিছুটা নগ্ন হয়েছে ঠিকই
কিন্তু প্রতিবাদী নগ্ন হয়নি ।
এখনও প্রতিবাদের তরী বেয়ে যাচ্ছে
তসলিমা নাসরিন এর মতো নারীরা ।
যাদের কণ্ঠে ঢেউ খেলে বেড়ায়
প্রতিবাদের সীমাহীন তরঙ্গ ।
আজ স্বাধীনতা দিবসে যেন ,
প্রতিবাদের মিত্রতা লাগে মম গাত্রে ।
মন যেন বলে যেতে চায়
হে, স্বাধীনতা ! স্বাধীনতা ! স্বাধীনতা
পরিশেষে বলি হে বিদ্রোহী ,
তুমি বেঁচে থাকো অন্তরে
যতদিন মানুষ থাকবে এই ভুবনে ।