যে শিশু ভূমিষ্ট হয়েছে আজ রাত্রে
সে বড়ো ভূল করেছে ।
নার্সিংহোমে তাকে দেখতে ,
জড়ো হয়েছিল আত্মীয় পরিজনেরা ।
মেয়েটির শ্বাশুড়ীমা আগেভাগে
দরজা দিয়ে কেবিনে ঢুকে পড়ে ।
বিছানায় শয্যারত বৌমাকে
সে প্রশ্ন করে বলে –
ছেলে হয়েছে তো ?
সদ্য জন্ম দেওয়া মা
গলা কাঁপিয়ে ভয়ে ভয়ে বলে-
আপনার নাতনি হয়েছে ...
শ্বাশুড়ীর মুখের হাসি যেন ,
মিলিয়ে গেল কুয়াশাচ্ছন্ন পথের পানে ।
শ্বাশুড়ী শুরু করে দিল মহাতান্ডব ।
অন্যান্য বয়স্ক মহিলারাও
ভৎসনা করল মেয়েটিকে ।
বিধাতার কাছে আমি প্রশ্ন করি –
হে প্রভূ ,
যে শিশু সদ্যজাত,যে শিশু নগ্ন,
যার গায়ে এখনও পড়েনি
পিতৃ-মাতৃ স্নেহের এতটুকু আবরণ ,
সে শিশুকেই তুমি কিনা বসিয়েছো
চাওয়া পাওয়ার গড়মিল দ্বন্দে !
শ্বাশুড়ী বৌমাকে ঘরে তুলতে চাইল না ।
আমার মনে হয় ,
শ্বাশুড়ী হয়তো ভুলে গেছেন-
তিনিও একজন মহিলা ।
তিনিও জন্ম নিয়েছিলেন
একমায়ের দেহ থেকেই ।
এসব কথা ভুলিয়ে দিয়েছে এক অন্ধত্ব ।
শ্বাশুড়ীর গায়ে এখন লেগেছে
অধুনাকালের আলগোছে হাওয়া ।
কিন্তু মৃত পাঁকের গন্ধ –
ভেসে বেড়ায় এখনও
তার শোণিতের কনায় কনায় ।