এক শরতের আকাশে থাকার কথা ছিল কোন এক পরিবারের হাত ধরে
         সাদা মেঘের ভেসে ভেড়ানোর প্রতিচ্ছবি নদীর তীরে
এক গ্রীষ্মে ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল এক শান্ত কুঠিরে, কাঠ ফাটা রোদ উপেক্ষা করে
    বাড়ানোর কথা ছিল কোন এক পাজারাের সিটে অথবা
             হোট লাগানো শহরের কােন এক অটো রিক্সাতে
কথা ছিল এক হ্রাস ঘনঘটা কুয়াশায় শীতের চাদর জরিয়ে উষ্ণ প্রাচীরের ছাঁদে
         কথা ছিল শরীর গরম করা কম্বল মুড়িয়ে বিছানায় গা বিছায়
হয়নি কখনো কোন কিছু,,, কল্পনাতইে রয়েগেছে শরৎ, গ্রীষ্ম, শীত
  হয়নি কখনো বর্ষার ছাতা দিয়ে রাস্তা পেরুনো হয়তো হয়নি ই কখনো ছাতা কেনা
          বৈশাখের ঝরের মতো দুর্যোগে নিরাপদ জায়গা দাঁড়ানো
আকাশ ফাটানো বিদ্যুৎ চমকানো ভয়ে শীর্ণ দেহ লুটিয়ে গেছে পুরোনো অতীত
  হয়নি কোথাও ঠাই  রাস্তাতেই বেড়ে উঠেছে শীর্ণ জীর্ণ দেহ
জোটেনি ঠিক মতো এক বেলার পেট ভরানো আহার
কখনো ওমোক হোটেলে চেয়ে হাতে গরম খুন্তীর ছােয়া লেগেছে
কখনো হয়তো শুকনো রুটি চুরির দায়ে পিছে লেগেছে হয়েছিল ব্যভিচার
এক মুঠো ভাত হয়তো জোটেনা কোন দিন হয়তো ডাস্টবিনে পরে থাকা এঁটো সম্ভব
কোমরে ছেড়া গামছা প্যাঁচিয়ে হয়তো কোন দিন শুয়ে থাকতে হয়েছে পীচ ঢালা রাস্তায় অবিচল
পায়নি কখনো পূর্ণতা রেল লাইনের বস্তিতে শুয়ে থাকা খুদার নিবারুন প্রচেষ্টা
      হয়তো পূর্ণতার স্বপ্ন ছিল হাজার চোখে ,, সুযোগ হয়ে ওঠেনি প্রয়োজনের অভাবে প্রচেষ্টা
কারন সে পথশিশু,,,নাকি ভাগ্যক্রমে এসে গিয়েছিল কংক্রিটের কালো পথে???
   নাকি কোন এক অপূর্ণ ভালোবাসার ভোগের স্বীকার হয়েছিল ???
ভাগ্য নিয়ে এসেছিল ধরে পাহারা দিতে রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের ঘোলাটে আলোর সাথে
হয়নি কেন কখনো ঘরের সোডিয়ামের আলোয় পালংকের ঘুমানোর স্বাদ
হয়নি কী তবে পথে ঘুরে বেড়ায় দেখে বিসর্জন দিয়েছে সকল স্বাদ আহ্লাদ