হে কবি তুমি নিঃশব্দ কেন?
     ফাগুন কী আসেনি ধরায়?
নিস্তেজ কেন! মলিন মুখ
    ফাগুন আসেনি কো তোমার আল্পনায়?
হে বসন্তের কবি তুমি জাগ্রত হও
    বয়ে যে যায় মৃদু বায়
আর কত তুমি থাকছ বসে?কুকিল সেতো বসে মনের অন্তরায়
জেগে উঠো তুমি এক স্বতেজ নিশ্বাসে
       চারদিকে কুহু গান
ভরিয়ে দাও কবি!  ফাগুনের বৈরি হাওয়া
      সুবাসিত হক প্রাণ
হে কবি? তুমি কী এখনো জাগবেনা?
     ধরায় যে ফুটিল ফুল
ভ্রমর সেতো ফুলের অনন্য প্রেমিক
    মধু সংগ্রহে ব্যাকুল
কবি জাগবেনা এখন তুমি?
ফাগুনের এই উচ্ছাসিত প্রহর
    চলে যে যায় একলা
ফাগুন এসেছিল তোমার বারান্দায়
           হয়েছিল উতলা
কবি আর থেকোনা তুমি অন্ধকার ঘরের ভিতর
বেরিয়ে এস... দেখ সজ্জিত ফাগুনের চাদর
দেখবে বলে তোমাকে কবি
   আজ শাখাতে শাখাতে ফুল
ফাগুন সেতো খালি আসেনি
এসেছে কুকিল কন্ঠে নিয়ে শিমুল
আজ বেরিয়ে এস ফাগুনের কবি
    নিয়ে নাও বন্ধনায়
বসন্ত আজ মুখরিত হক তোমার আঙিনায়
হে ঋতুরাজ তুমি মুখরিত আজ
   ধরা যে আজ তোমার সাজে
যাবেনা নাকি তুমি বিস্মিত হৃদয়ে
   কবির করুণ বাঁশির মাজে
তুমি আসবে বলে ঋতুরাজ
    কবি ঘুমাইনি ঋতুপাঁচ
ফাগুনের কুকিল গাইনি গান
গাছ পরেনি পাতাবাহারের তাজ
তুমি আসবে বলে হে বসন্ত
   কবি গাইনি সুখের গান
উৎসর্গ জীবন তোমার তরে কবি
     তোমাতে বিলিয়েছে প্রাণ