কবরকে আজ কবর থেকে অনুভব করলাম নামাতে দাদির লাস
দু’চোখ চোখের জল গড়িয়ে পরেছিল গোছাতে পৈঠার বাঁশ
এক চরম হতাশার মুহূর্ত, বুকফাটা কষ্ট
দিতে চাইছিল দু’চোখ দিয়ে উঁকি
কত কাল কত বছর থাকতে হবে
যেতে হবে সব ছেড়ে শুধু কাফনের কাপড় বাকী
নির্মম এক ব্যথার মুহূর্ত,হতাশার সময় বোঝানো কাউকে দায়
কাকেই বা বোঝাবো ব্যথিত হৃদয়ের কষ্ট কারোরিত সময় নাই
কেউ ব্যস্ত কান্নাকাটি নিয়ে,কেউ বা ব্যস্ত খুরতে কবর
কেউ ব্যস্ত সান্তনা দিতে, কেউ বলে কর শবর
কেউবা আবার বাঁশ কাটতে হাতে দা-কুড়াল কারো বা হাতে করাত
সবাই কত ব্যস্ত কবর দিতে গোছাতে হবে সব হওয়ার আগেই রাত
দাদি তোমার কষ্ট কেউ বুঝে না আজ কেউ চেনাশুনা তোমার ডাক
কেউ দেখেনা আজ তোমার ব্যথিত হৃদয়
কেউ আজ সান্তনা দেয়না তোমাকে হাতে রেখে হাত
নয় সন্তানের জননী তুমি কেউ বোঝেনা তোমার আহাজারি
সবাই বলে পাষাণ তুমি, নিষ্ঠুর তুমি
ঘুমিয়ে আছ তুমি পড়ে সাদা শাড়ী
কেউ তোমাকে বধীর বলে, কেউ আছে পড়ে হয়ে নিশ্চুপ
কেউ আছে কান্না করতে, কেউ বা ঘোরে আছে দিয়ে ডুব
চার ছেলের আজ সাহস হলোনা, পৌঁছাতে দিতে তোমার ঘরে
একা থাকবে সঙ্গী হবেনা কেউ তাই সবাই আছে ডরে
তাই নামালাম আমি পৌঁছাতে তোমাকে চিরস্থায়ী তোমার ঘরে
এক বুক হতাশা নিয়ে পৌঁছাতে হলো, ইচ্ছে করছিল যে যায় মরে
সেই তোমাকে আজ রেখে আসলাম, মনটা যে বড়ই আজ হাতাশ
কাঁদে করে আজ পৌঁছে দিলাম, সবাই বলছিল বলে তোমাকে লাস