সেদিন তোমার নিস্তেজ নীরব চোখ দুটো
আকাশের শঙ্খচিলের দিকে চেয়েছিল
কিছুটা শান্ত, কিছুটা বোকা, আর-
কিছু অভিমানী বা হারানোর ভাব নিয়ে
আমি তােমার থেকে মাত্র ঠিক দু’ফুট দূরে দাঁড়িয়ে তখন
কী যেন খুঁজেছিল তোমার নীরব ঘাতক দুটি চোখ
আকাশের বিশালের মাঝে
চিন্তিত মুখ শুস্ক চুল পড়েছিল কাপলের ভাজে
আমি সেটার সুরাহা করতে পারিনি
দু’ফুট দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম যখন
তোমার কাছে যাবো কি যাবো না
ভাবতে ভাবতেই সময় প্রায় আধ ঘণ্টা পেরিয়ে
পা দুটি ক্রমশই নিস্তেজ, পারিনি যেতে তখন
ধিঁধা দন্ডের বেড়াজাল ছাড়িয়ে
তখন শুধু তােমার নীরব চোখের পাতায় ঘনঘন পলক পড়া দেখেছি
আর ছক কষেছি তোমার কাছে যাওয়ার নানান বায়না,
পরক্ষণেই মোর নিলাম
যাওয়া হয়নি তখন হয়নি পড়া তোমার শান্ত নীরব চোখের পাতা
শ্রাবণের অজস্র মেঘ জমেছিল,
আনা হয়নি তোমার জন্য নিজ থেকে কোন ছাতা
আমি তোমার শ্রাবণের এক নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম ঠাঁই
হয়নি তোমার শ্রাবণে বিচরণ
হয়নি তোমার চোখের কোনে জমে থাকা মেঘে
একমুঠো রৌদ্রের আলো ছড়ানো
এতোটাই ব্যস্ত ছিলে নিজেতে নিজে নিয়ে অবিভক্ত আচরণ
তাই ছিল প্রয়োজন তোমার মাঝে এক পূর্ণ মেঘের শ্রাবণ
সূর্যটা হাসবে নতুনের আশায় করাবে তোমায় অনুধাবন