কুত্তা কাফি এবং ভোরের হলুদ চা
কুত্তা কাফি, আমি তোমার কবিতার উপরে
ভোরের চিনি ছাড়া চা (মূ*) ত্যাগ করি
কুত্তা কাফি, তোর কাব্য মানে বিষ,
লেখার নামে করিস শুধু মিথ্যের আবিষ্কার।
তোর কবিতার তলে মরে যায় ব্যাকরণ,
তোর কলমের কালি যেন অন্ধকার কবরস্থান।
তুই ভাবিস কবি, তোর লেখা মহৎ,
আসলে শব্দের গায়ে লেপে দিস কদর্য দখল।
তোর ছন্দহীন বাক্য একেকটা ময়লা,
পড়তে গেলে লাগে নর্দমার গন্ধ,
নাক চেপে রাখা লাগে দুঃসহ!
ভোরের চায়ে চিনি না থাকলেও,
সকালটা থাকে শান্ত, থাকে রোদ মেলানো।
কিন্তু তোর কবিতা পড়লেই বাজে টান,
মন বিষিয়ে যায়, উঠে আসে বিদ্রোহের গান!
তোর কবিতা মানেই শব্দের গণকবর,
ভাবের নামে রাখিস শুধু পচা আবর্জনা।
তুই কবি না, তুই এক কাব্যিক প্রতারক,
তোর কলম যেন নষ্ট শালিকের গলাগান!
তোর কবিতা বিষাক্ত, তোর চিন্তা বিকৃত
তোর কাব্যে প্রেম নেই, নেই কোনো আলো,
শুধু বিকৃত চিন্তা আর হীনমন্যতার তাল।
তোর প্রতিটি লাইন যেন পাগলের প্রলাপ,
লেখা পড়ে মনে হয়
মগজ-ডাক্তার তোর লাগবেই লাগবে!
তোর ছন্দ শুনে জলের মাছও মরে,
পাখিরা থেমে যায়, ডানায় বিষ ধরে।
তোর কাব্য শুনে শালিকও হাসে,
“এ কী বাজে কথা, শয়তানও লাজে!”
তুই ভাবিস তোর কলম চালিয়ে যাবি,
আসলে শব্দরা তোকে পিষে মেরে ফেলবে।
তোর কবিতার পাশে বিষধরও শান্ত,
কারণ তোর লেখার চেয়ে তার বিষও মিষ্টি লাগে!
তোর কবিতার উপরে আমি
ত্যাগ করি ভোরের হলুদ চা !
তোর কবিতার পাতা যেন শূন্য মাঠ,
তাতে উড়ে শুধু ধুলোর স্রোত।
শব্দের রোদের তাপে সব হয় নিঃশেষ,
তোর লেখা মানে আগুনে পোড়া খেস!
তোর কবিতার উপরে আমি রাখি ঘৃণা,
তোর শব্দের উপর আমি ঢালি
ভোরের হলুদ চায়ের বন্যা ।
ভোরের চা ত্যাগ করি তোর লেখা দেখে,
এমন পচা লেখা আর দেখি নি বাপের জন্মে!
তোর কবিতা পড়ে গাছের পাতা ঝরে,
শব্দের কান্নায় আকাশও মেঘে ভরে।
তোর কলমের ছোঁয়ায় কাগজ কেঁদে ওঠে,
“দয়া কর, আর লিখিস না,
আমার শব্দের মরণ ঘনিয়ে আসে!”
তোর কবিতা মানে এক বিশাল অভিশাপ,
ভাষার ওপর অত্যাচার, পুণ্যের ওপর পাপ।
তোর লেখা ছাপালে কাগজ লজ্জায় পোড়ে,
প্রকাশনীও বলে, “ভাই, এটা ছাপলে মান
যাবে তলানিতে পড়ে!”
তোর কবিতা নয়, তোর কলমের মৃত্যু চাই!
তোর লেখা মানে রক্তাক্ত শব্দ,
তোর কবিতা মানে পচা মাংসের গন্ধ।
তোর শব্দের ভেতরে থাকে নষ্ট চিন্তা,
তুই কবি নস, তুই একটা বিকৃত দানব!
তোর কলমের কালি শুকিয়ে যাক,
তোর ছন্দের ঠোঁট চিরদিন থেমে থাক।
তোর ভাষার লাশ জলে ভাসুক,
তোর কবিতার অগ্নিতে সবকিছু জ্বলে যাক!
শেষ মেষে বিনয়ে বলিতে চাই ,
কুত্তা কাফি, থাম, থাম এখনই,
নইলে তোর কবিতার জন্য ধ্বংস হবে সব কিছুই!
তোর লেখা পড়লেই জেগে ওঠে আগুন,
শব্দের কান্নায় গর্জে ওঠে ঝড়।
তাই বলি কাফি, এবার বিদায় নে,
তোর কবিতা যেন আর ছাপা না হয়।
তোর কলম ভেঙে দে, পাতাগুলো পুড়িয়ে ফেল,
তোর লেখা মানেই পাপ, তোর লেখা মানেই জ্বালা!
ভোরের চিনি ছাড়া চা অন্তত চলে,
তোর কবিতা পড়লে শুধু মস্তিষ্ক জ্বলে।
তাই তোর কবিতার তরে আমি দিলাম ত্যাগ,
ভোরের চায়ের মতো তার উপর হলুদ পানির ভাগ!