গুপ্ত শত্রু করোনা আর
উদ্দাম আমপানের চপেটাঘাতে,
সুখের কবিতারা মারা গিয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে।
কিছু মুখ থুবড়ে পরা গাছের নীচে,
লাখ লাখ বানের জলে ডুবে ;
অবশিষ্ট কবিতারা হল করোনার শিকার।
বেঁচে আছে শুধু,
হাহাকার আর খিদে ভরা পেট ;
রিলিফের লাইনে দাঁড়িয়ে,
রোদে পোড়া লাখ লাখ-
আধপোড়া, অসমাপ্ত রুগ্ন গদ্যের দল।
গোপন খবর পেলাম,
কিছু কবিতা বোধহয় বেঁচে আছে,
পঙ্গুপ্রায় গুরুতর আহত অবস্থায় ;
ব্যান্ডেজ জড়ানো বিকৃত মৃতপ্রায়।
কিছু প্রতিবাদী চালচুলোহীন,
পরিযায়ী কবিতাকে-
করোনাক্রান্তের ছাপ লাগিয়ে,
পাঠানো হয়েছে নিঃসঙ্গ নির্বাসনে।
ওদের খুব ভয় পায় শাসক সম্প্রদায়,
ওরা না কি করেন চেয়েও ভয়ঙ্কর।
এমন দুনিয়া কাঁপানো দুর্যোগ ও মহামারীর-
বিধ্বংসী আতঙ্কের বজ্রমুঠি এড়িয়ে,
কবিতারা বাঁচবে কি?
মানব সভ্যতার ইতিহাসে,
বহু মহামারী, বিশ্বযুদ্ধ ও
পারমাণবিক বোমার -
সর্বনাশা ধ্বংসলীলাকে অগ্রাহ্য করে,
সর্বাঙ্গে চিতাভস্ম নিয়ে,
প্রতিবাদী কবিতারা ফিরে এসেছে বারংবার ;
নতুন রূপে, নতুন ভাবনা নিয়ে,
অার পৃথিবীটাকে -
নতুন করে গড়ার স্বপ্ন নিয়ে।
বর্তমান দুর্যোগের অাঁধার কাটিয়ে,
নতুন পৃথিবী নির্মাণের শপথ নিয়ে ,
কবিতারা অাবার ফিরে আসবে নিশ্চিত।
মাঠে ময়দানে মিছিলে মিছিলে,
হাজার হাজার মানুষের কন্ঠে,
কবিতারা আবার মুক্তির গান গাইবে সুনিশ্চিত।।
- অকবি -
পাদটিকা : এই কবিতাটি এই আসরের সব কবি বন্ধুদের
উদ্দেশ্যে। মানব সমাজের এক ভয়ঙ্কর দুঃসময়
চলছে, কিন্তু আমরা হার মানলে চলবে না।
কবিতাকে হাতিয়ার করে লড়াই চালিয়ে যেতে
হবে।