সেতুর নিচটা অন্ধকারকে তেমন ভাবে জড়িয়ে নেবার আগে,
খদ্দেরের জন্য দাঁড়িয়ে আছে, শেষ অথবা প্রথম,
তবু দাঁড়িয়েই আছে, থাকতে হয় তাই;
আমার স্ত্রী।
আমি ওর কাছে যাবো,
আমার মেয়েটা দুধ দুধ করে পাগল করছে,
আরো একটু হাঁটো বাবা,
আরো একটু হাঁটলেই মা!
তবু সেতুর নিচে নামবো না আমি,
যতই কেঁদে মরুক না কেন মেয়েটা,
ট্রামরাস্তা যতই কাঁপুক,
বুকের কাঁপুনি কম কি?
দরদাম মোটামুটি ঠিক হলে,
খদ্দেরের হাত ধরে আরো নিচে চলে যাবার আগে,
আমি সেতুর ওপর থেকে নিরাপদ দুরত্বে দাঁড়িয়ে বলি,
ওগো মেয়েটা বড়ই কাঁদছে!
সেতুর নিচের বৃদ্ধ অন্ধকার,
নোনা ধরা জৈবিক খিড়কিপথ বেয়ে চলে গেল;
আমার স্ত্রী।
শুধু ওঁর;
লাল মিনে করা ঠোঁটের পাশ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল হাসি।
শুধু, শুধুমাত্র নামতে হবে বলে,
কুড়িয়ে নেওয়া হল না।