যাক সাহিত্য সম্পর্কে আর কিছু লিপিবদ্ধ করিয়া আমি পাঠকবর্গের বিরাগভাজন হইতে চাহি না। বিশেষতঃ কবিতা প্রকাশ করিবার পর হইতে আর কেহই এই আলোচনা সভাতেই আসিতেছে না। হাঃ হাঃ হাঃ।
তবে শেষ কথারুপে নিঃসৃত করা যায় যে, আমরা বাঙালি, তাই বাংলাকে অবহেলা আমাদের আমাদের মজ্জাগত।
ষ্টেজে মারিয়া দিবার পদ্ধতিটি আমরা পরিত্যাগ করিতে পারি নাই। বিশেষতঃ ছাত্রগন। ইহা খুবই দুঃখের বিষয় যে আজ বাংলার গৃহে গৃহে খুব কমই ‘বাংলা হইতে বাংলা অভিধান’ পাওয়া যায়। মানা যাইতেছে যে বৈদেশিক সংক্রান্ত নানাবিধ কারনে ইংরাজি ভাষা অপরিহার্য, তথাপি বাংলাভাষার যে গৌরবময় স্বতন্ত্র স্বত্বা বিদ্যমান তাহা যেন আমরা বিস্মৃত না হই। তাই শুধু গণিতের গণধোলাই বা ভৌতবিজ্ঞানের ভুতান্বেশন, এমনকি রসায়নের রস সংগ্রহে ব্যস্ত থাকিলেই চলিবে না, বাংলা সাহিত্যকে আরও বহুল পরিমানে প্রাচুর্যপূর্ণ করিতে আমাদেরকেই অগ্রসর হইতে হইবে এবং একথা অনস্বীকার্য যে বাংলা তথা বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়গুলির মহিমা কখনোই ক্ষুণ্ণ হইবে না । এমনকি বিশিস্ট চতুষ্পদ প্লবগের ছত্রের ন্যায় ইতঃস্তত ইংরেজিমাধ্যম বিদ্যালয়গুলি গজাইয়া উঠিলেও নয়।