স্যামুয়েলের বান্ধবী বলেছিল আত্মহত্যা করবে,
ওকে বলেছিলাম, আমার ও শহর জানা নেই,
জানা নেই স্যামুয়েলের অন্য বন্ধু আছে কিনা, অথবা ভাই;
কেন না স্যামুয়েলরা প্রায়শঃই একভাই হয়, যমজ থাকে না,
যে কুম্ভের মেলাফেরৎ তোমার হাত ধরবে ঐপারে।
জানো? আমি চাঁদের পাহাড় দেখিনি, চাঁদও দেখিনি চিৎ হয়ে,
বেশীর ভাগ জীবন কেটেছে পাশ ফিরে; যেন অনন্ত বিকেল।
আর আমি যে পাড়ায় থাকি, সেখানে লোডশেডিং খুউউব।
তাই বান্ধবী শোয় না আমার সাথে; উষ্ণতা সহ্য করারও সীমা আছে।
ও বলল, স্যামুয়েলের কোন সীমা নেই, ওর অনেকটা খোলা,
আসলে ও অনেক ভালো। সব সময়েই ভালো। স্নানের গন্ধের মত ভালো।
তুমিই বলো, বৃষ্টি কার না ভালো লাগে, তাই বলে অনবরত!
অনাবিল!! অসহ্য!!! তাই না, কবি?
স্যামুয়েলের বান্ধবী আত্মহত্যা করেছে।
স্যামুয়েলের চোখেও দেখেছি জল, ও মাঝে মাঝে হিক্কা তুলছিল।
আজও নিয়মিত ফুল রাখে বান্ধবীর কবরে। মোমবাতি দু’টাকার।
আমি স্যামুয়েলের বান্ধবীকে ভালবাসতাম না;
তবু সে আমার নিজস্ব ছিল; জ্ঞানত অথচ অজ্ঞানত।
তবে স্যামুয়েলের বান্ধবী চলে যাওয়ায় আমি কবিতা লিখি নি;
কারণ আমি চাইতাম, স্যামুয়েল ভালো থাকুক।