এখনো সে ভাবে হাঁটতে শেখো নি
নাও এবার এক পা এগিয়ে এসো; তোমার পাশে গ্রাম্য প্রত্যূষ,
আরো দু পা এগিয়ে এসো; সামনে দেখছ অলস হাতে তৃষ্ণার মুক্তি,
এবার এক পা ডাইনে; বাঁদিকে চিরাচরিত শৃঙ্গার শৃঙ্গার খেলা,
এবার দাঁড়াও। চিবুকে নির্বাচিত চুম্বন নাও; পথের পাথেয়।

সামলে!
প্রচন্ড হাওয়া দিচ্ছে নৈঋত কোন থেকে। কালবৈশাখী হয়ত দেখেছ,
গড়চণ্ডীপুরের আমবাগান! মনে আছে?
কত অজস্র আমকুঁড়ি, হাওয়ায় সামলানো ফ্রক উড়ে গেলে উন্মুক্ত...
নিমেষে বৌফুসলানী তলায় টেনে নিয়ে গিয়ে চকাস!

এবার তিন পা এগিয়ে এসো, আহা ওভাবে নয়, এক্কাদোক্কা খেলার ছলে,
তবে কবে খেলেছিলে সে কথা মনে করতে নেই; কষ্ট জমে মেঘের মতন।

আশাকরি সেই শেষ কবিতা লেখার পরেই হাঁটতে ভুলে গিয়েছিলে,
স্মৃতি অতি নোংরা বস্তু, তাকে ঘাঁটতে নেই। ছিন্ন কর, বিচ্ছিন্ন কর।

নাও এবার নিজেই হাঁটার অভ্যাসে যাও, তবে মাঝে মধ্যে,
একপা, দু পা পিছিয়ে আসার ভ্রম কর না।