এখন আর সমুদ্রে নোনাস্বাদ পাই না,
শেষবেলায় দেখেছিলাম এক শংখচিল পিছন হপ্তায়,
তার পর থেকে শুধুই নাবিক-উন্মনা হাওয়া-ই পেয়েছি,
আর দেখতে পাইনি কোন শংখচিল; শত চেষ্টাতেও।
মনে হয় ওটাই শেষ শংখচিল ছিল।
অথবা প্রেয়সীর চলে যাওয়াটা, এইভাবে, মেনে নিতে পারেনি।
চলে গিয়েছিল, মনে হয়, আমাকেই অভিবাদন জানিয়ে।
তবুও তো কত নগ্ননাবিক আটমাস সমুদ্রে ভেসেও স্নান শেখে না,
প্রতিটি বন্দরের স্ত্রীরা চুম্বন দিতে চায়; শরীরে শরীর চায়,
তবু বাসে কি ভালো সেই নাবিক কাউকে? নাকি শুধু বাসার অভ্যেস?
সেই শংখচিল হয়ত আজো আছে; শেষ শংখচিল; বিশ্বাস আমার।
দুরাগত কম্পাস লাইট-টাওয়ারের আলোর পথ ধরে,
সে আলো তো স্থির নয়, সতত ঘূর্নায়মান;
আছে, সে শংখচিল আছে ঠিক ১৮০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে; আমার বিশ্বাস।
তাকে খুঁজতে নেই; মন ফেরালেই সে আশ্বস্ত হয়।
আমি মন ফেরাবার জন্য সমুদ্রের জলে মাছের হয়ে স্বপ্ন দেখি।