ক্রমে ক্রমে সোনালী খড়ে ভরে গেলো মাঠ,
এক আবছা প্রচ্ছায়া বিস্তীর্ন হয়ে আছে মাতৃহীন পোড়া ধানে,
ভুতের মতন কৃষকরমণীর নরম তনু ছায়া খেলছে যত্রতত্র,
তার নাম না লেখা পাণ্ডুলিপি এক অসীম শুন্যতা সৃষ্টি করতে সক্ষম।
কি অশুভ সব চিহ্ন; নিরন্তর পাহারায় ক্ষুধার্ত শকুন!
আমি অসম সাহসী সেই কৃষাণ,
যে বাদাম গাছটার নিচে অপেক্ষায় অস্পষ্ট জনের মত,
হালকা ছোঁয়ায় গন্ধ পাচ্ছি মৃত কৃষকরমণী;
গত দশকেও ঘ্রাণ জীবিত ছিল তার, মরা হাড়-মাংস;
হেমন্ত ছিল একমাত্র দর্শক, আমরা কিছুই লুকোতে চাই নি।
যদি ভুলক্রমে সমাপ্তি আসে কৃষকের মত,
তবে সোনালী খড়ে ক্রমে ক্রমে ভরে যাবে মাঠ,
প্রতিটি খড়ের মূলে এক একটা নতুন ভ্রুনের কল্পকাহিনী,
এখানে এক মৃত নগরী আছে; আমার চোখের জ্যোতি হোক উজ্জ্বল।
আমি ধীর লয়ে সেই মৃতদেহ বহন করে নিয়ে যাব পরবর্তী ধাপে।