হয়ত শহরতলীতে ঘুরতে যাচ্ছ খানিক আত্মবিস্মরণে,
দেখে গেলে না দরজায় অপেক্ষায় রথ, নাবালকবাহিত,
আকাঙ্ক্ষিত দ্বিচারিতায়,
অমোঘ বার্তা আঁকড়ে থাকার সেই দুঃসময়;
নেহাতই অন্ত্যরীক্ষে কালপুরুষ দেখে যেতে পারলে না।
হয়ত গ্রামীন সভ্যতায় পান করতে যাচ্ছ পাললিক সুরা,
দেখে গেলে না ঝোপের আড়াল থেকে অযাচিত খড়্গ,
কখন উদ্দত; যেন প্রত্নপাথর,
নিজেকে কবিতার শয়নকক্ষে নগ্ন করা;
নেহাতই নিজেই নিজের সবটা দেখে যেতে পারলে না।
হয়ত পেরিয়েছ লোহিতকণিকায় প্রোথিত দরদালান,
দেখে গেলে না এক একটা সিঁড়ির আড়ালে দীর্ঘবাষ্প,
প্রিয়ার চিতায় ঢালার জল অথবা স্বপ্ন,
অন্ধকার শব্দের মাঠে নিজেকে আলোড়িত করা,
নেহাতই বৈশাখী হাওয়ার মত; শব্দকেই নিজে চিনলে না।