ও আনন্দী, রক্ত আবির ছড়াস কেন উঠোনময়?
মন্ত্রমুগ্ধ স্মৃতির বাসায়, ভরদুপুরে কিসের ভয়?

তোর চোখেতে চোর সেজেছি, সাবেক ভুলে কোনটা ঠিক?
আনন্দী, তোর পড়ছে মনে? আসবি ফিরে নিয়ম মাফিক?    

শ্রেণিবদ্ধ শব্দে খুঁজিস, শ্রেনিশত্রু নিয়ম করে?
শিষ্ট হয়ে ইষ্ট জপিস, রুদ্ধবাতাস কার ভিতরে?

আনন্দী, তুই স্বপ্ন মানিস? ভোরবেলাকার উৎস দেখে?
দেহের আঁচে ছটপটানি, ঠোঁটের কাছে গোলাপ রেখে?

বাসন্তী গান বাঁধিস কেন, মন কেমনের ছিন্নস্বরে?
জানিস আছে নীলচিঠিটা? আজো আবছায়া অক্ষরে?

বৃষ্টিমুখর কাজলা দিনে আনন্দী তোর ওষ্ঠে বিষ?
দেবালয়ে নেইরে আমি, শ্মশান-মশান খুঁজে মরিস।

পাপড়ি ছিঁড়ে ফেল আগুনে, ফেলনা আমায় ভাবিস নাকি?
হাসির গন্ধে ভাবলি নারে, থাকতে পারি তুই ছাড়া কি?

আনন্দী তুই বাতাস হলে, জানলা খুলে দিতাম উদাস,
জানিস না কি, তুই না হলে, কলকাতাটাই হয় পরবাস?