জানি আবারও হেমন্ত এসেছে,
জানি মাঠে মাঠে ধানের কবিতা সাজিয়ে রাখা আছে থরে বিথরে
তবু হেমন্ত এলেই, কবিতা আসুক বা নাই আসুক;
দুটি চোখ, সামান্য ভাসা, অসামান্য ভাষা –
আমি এঁকেছিলাম, বারংবার, গরিমা দীপ নির্বাপিত হয় বারংবার,
তবু হেমন্তের মত কিছুতেই পারছিলাম না; কেননা -
কবি’র বুনিয়াদি শিক্ষা ভীষণ কুক্ষিগত।
হে ঈশ্বর, আমায় বিশ্বাসের শক্তি দাও,
কবিতায় নিমজ্জিত হাত দুটি তুলে ধরতে সাহায্য কর,
আমার তৃষ্ণা জানে, কতটা দূরে ঐ চোখ।
হেমন্তের শেষ রাতে যদি অলৌকিক বৃষ্টি নামে,
সন্ধান করি অন্য কোন শব্দ, অন্য কোন নামে,
স্মৃতিবিদ্ধ ছাড়পত্র নিবেশিত রিক্ত বন্ধ খামে।
জনম অবধি রূপ নেহারিনু অবোধ গোপনে,
তবে সে অর্ঘ্য নৈবেদ্য হবে দিগন্ত রোপণে,
কোথা সে চোখ রাখি দারুণ সঙ্গোপনে!
সেই চোখ...সেই চোখদুটি...........