হাত ভিজিয়ে মুখ পুঁছে নে,
আসবে এখন ক্যানিং লোকাল।
হারিয়ে যাচ্ছি বলব থোড়াই -
মন মুছিয়ে দিক গালাগাল।
পুজোর আগেই প্ল্যান করেছি -
পালিয়ে যাব নিরুদ্দেশে।
রঙিন রঙিন স্বপ্ন ঝালর;
একটু হলেই যেতাম ফেঁসে!
আব্বা-টি তোর পিস মাইরি,
মোমবাতিতে পাথর গলে?
রাগিস নি কো। তুই বলে দে -
এমন করে ক’দিন চলে?
মনে পড়ে প্রথম যেদিন -
এমন করেই শরৎ ছিল,
এমনি রেলের ইস্টিশানে -
কে যে প্রথম হৃদয় দিলো!
সেই যে শেষে ফকিরমাঠে -
প্ল্যান বানালাম – পালাই যদি?
থাক না পরে গাঁয়ের মাটি,
থাক না পিছে গৌড়নদী।
শাড়ী শায়া খুব হয়েছে -
একটি দুটি হাতের বালা,
জানি সবাই খুঁজবে পরে,
উঠবে যখন রূপোর থালা।
হয়ত সবাই বেদম হবে –
জাগবে জোয়ার স্বল্প-প্রবল;
একপাড়াময় এক হাঁটু শ্লেষ -
‘ডুবে ডুবে খাচ্ছিল জল!’
কাক জোছনায় ততক্ষণে -
ঝুপুৎ খসে রাতের চাদর,
একটু না হয় ডাল-ভাতে-ভাত,
একটু সোহাগ, একটু আদর।
স্বপ্ন দেখিস আরেকটু পর -
একটু সিঁদুর-শাক-আলোচাল,
ঝমঝমিয়ে আসছে ছুটে -
শেষপাড়ানির ক্যানিং লোকাল।।
(আজকের কবিতা আসরের প্রিয়কবি মিতা চ্যাটার্জীকে উৎসর্গ করলাম)