অগভীর তটরেখা পড়ে থাকে বালুজমির নিচে,
মাঝে মাঝে ছুঁতে চায় জলবিন্দু,
একমাত্র সমুদ্র জানে কখন স্পর্শ করতে দেবে তার নিজস্ব চেতনাকে।
সে তটরেখার অপেক্ষার পরোয়া করে না।
দুরে তটরেখা ধীর, স্থির,
কোন বাড়ি নেই, কোন গাছ নেই, কোন চুম্বন নেই।
নিজের হুইল বাড়িয়ে বসে থাকা,
যদি কোন সামুদ্রিক মাছের সাথে দেখা হয়ে যায়।
তুমি তটরেখা বরাবর জলের সঙ্গে ঝগড়া করো,
চলে মান অভিমানের পালা,
সবই প্রায় কিছু পাওয়ার আশায়; আর না চাইলেও -
ঢেউ-এর পর ঢেউ এসে ধুয়ে দিয়ে যায় এক একপ্রস্থ যন্ত্রণা।
ওদিকে সমুদ্রের মাছ খেয়ে গেছে বড়ঁশির সুতো,
তুমি শুধু তটরেখা ধরে তাকিয়ে থাকো অনাগত সুর্যাস্তের দিকে,
হতে পারে সমুদ্র, তবে তুমিও তো হারবার পাত্র নও।
আত্মদম্ভে সমুদ্র দেখে না, তটরেখা গ্রাস করার বিনিময়প্রথা সমাপ্ত।
অপেক্ষা এখন শুধু বিস্ফোরণের!