তোমার ঠোঁটের কোণে সেই অহংময় হাসি,
আমার সত্ত্বাকে খুঁচিয়ে তোলে অস্তিত্বের তীব্র সংশয়,
প্রশ্ন করে তুমি কি বাস্তব, নাকি আমার মনের ভ্রান্ত প্রতিচ্ছবি,
ভাবনার ঘূর্ণিপাকে তোমাকে কি আমি গড়েছি এই পৃথিবীতে?
মনের অন্তর্দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে যায় ঝড়ের মতো,
অচেতন প্রতীক্ষার বৃষ্টি অনন্তকাল ঝরে,
আমি নির্জীব চোখে তাকিয়ে থাকি,
এক অজানা যাত্রার  দিশাহীন গন্তব্যে।
উন্মত্ত বিকেল আমায় ডাকে বিবর্ণ শ্বাসে,
চারপাশ যেন তোমার উপস্থিতির ছায়ায় আচ্ছন্ন,
তুমি নেই, অথচ তুমি আছো প্রতিটি বাতাসের ধোঁয়ায়,
আলো আর অন্ধকারের রহস্যময় মিশেলে,
তোমার সেই অহংময় হাসি আকাশের গায়ে অম্লান,
আমি নির্বাক তাকিয়ে থাকি, কথা হারিয়ে যায় চিরতরে।
কতবার যে হারিয়েছি নিজেকে অন্যমনস্কতার গভীরে,
পড়ন্ত বিকেলের বিবর্ণ আলোর মায়াজালে,
সময়ের স্রোতে আমি একা ভেসেছি,
তুমি তো দূরত্বের অদৃশ্য ছায়া হয়েই ছিলে,
আমি কখনোই দেখতে পাইনি তোমাকে,
চোখে ছিল শুধুই অশ্রুর ছায়া,
তোমার নাম ভেবেছি অগণিতবার,
ভুলেছি অসংখ্যবার।
তবু প্রতীক্ষা করি সেই অহংময় হাসির প্রত্যাবর্তনের,
যে হাসি মুছে দেয় আমার সকল বিষণ্ণতার ছায়া,
তোমার ফিরে আসার আশায় এই অন্তহীন সন্ধ্যা, তুমি কি আবার আসবে?
নাকি হারিয়ে যাবে বাতাসের অস্থির কোলাহলে,
আমায় চিরকালের মতো একা ফেলে?
যেমন তুমি প্রতিবার করেছো, নিষ্ঠুরতার ছদ্মবেশে,
আমার ভালোবাসার আকাশে অন্ধকারের সীমা রেখে।
তোমার সেই হাসি,
যা কেবল তোমার একচ্ছত্র অধিকার,
আমার হৃদয়ের গভীর শান্তিকে ছিনিয়ে নিয়েছে,
আমার সত্ত্বা আজ সেই অহংকারে দিশাহীন প্রশ্ন হয়ে,
যা আজও সমাধানহীন।
তুমি কি কোনোদিন আমার এই প্রশ্নের জবাব দেবে?
নাকি সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে চিরকাল থেকেই যাবে,
আমি কি তবে তোমাকে খুঁজে ফিরব?
বাতাসের স্রোতে, মেঘের ছায়ায়, অনন্ত অন্ধকারে?