মুর্শিদাবাদে ঐতিহাসিক যুগের পরেই আমিও এসেছি স্বর্ণযুগ এর অঙ্গীকার নিয়েই ভাগ্যের পরিহাসে ...
ঝলসেগেছি আমি আজ
পোড়া রুটির মত,
জীর্ণবসন সংসারে আমি
বক্ষদেশ জুড়ে ক্ষত।
যা ছিলো সব বিলিয়ে দিয়েছি
নিজের ভাগ শুন্য,
রাস্তাঘাট ও ধিক্কার দেই
আমি যে জরাজীর্ণ।
দাপুটে আমির একাই ছিলাম
পুরো তল্লাট জুড়ে,
সম্মুখ কেউ হলে তাকে
দিয়েছি ফেলে ছুড়ে।
বিদেশীয় সব ঘ্রাণে
মসগুল আমার চারিধার যেন এটাই পুষ্পরথ,
মানুষরূপে সে আবার কারা?
আমিতো শ্রেষ্ঠ সেরা।
যাহ যাহ তোদের চিনিনা হেতা আসিস কেন বারবার
বিরক্ত হই তবু রোজ করিস এক দরবার।
ভেবেছিলেম বড় জাতের আমি
ভুমন্ডলে হিরক থেকে দামি,
কে ঠেকিবে আমায় জীবন করতে পারাবার।
যা করেছিনু তা অগাধ ভুলেভরা
কিছু নাই অবশিষ্ট,
মরমে মরি প্রতি পলে আমি
পিসে যাই শত পিষ্ট।
৬০ বছরে আমি আধ ভাঙা চশমা চোখে,
যে চোখটা বেশি খারাপ সেই গ্লাস্টাই ভেঙেছে।
আখি ঝরছে শত বছরকার পাপ নিয়ে
এ যে আমার প্রাপ্যতা বুঝেছি জীবন দিয়ে।
খিদে পেট অসুখে শরীর কখন
পরান যাই,,,
মরন আসো ডাকছি তবু মরনে মুক্তি নাই।
বসন জুড়ে ময়লা গন্ধ
কতকাল ঘুরছি পাদুকা হীন,
মরনের কাছে ঘুরে ফিরে আসি
তবু জীবন ছাড়েনা ঋণ।
সাদা চুল দাড়িতে মিলিয়ে গেছে সুখ
মিশেল হয়েছে অভাগ্য দেখানোর নেই মুখ।
হরি ভজি নিয়ে তিলক ললাটে কীর্ত্তন করি দিন রাত বসে
তবু বুঝি সে মোরে ক্ষমিবে না,
কখনো কাহারো দারিদ্রতা কে ব্যাংগ করোনা।
কে জানে তোমার নিজের ভাগ্যে আছে কি বিধিমত
পথের প্রান্তদেশ হবে তুমি হারিয়ে সোনার রথ।
হইত একদিন বদলাবে বেচে থাকার চিত্র
যে দিন তোমায় আঘাত করিবে অবৈধ দারিদ্র।
গল্প নয় সত্যি শুনেছি জানিনা জলঢালা দুধ কিনা
মানুষটিও পরিচিত ,
শুনেছি তাঁরই মুখে সত্যি এটাই "অবৈধ দারিদ্র"।
◆চেষ্টা করলাম কিছু সাধু ভাষার প্রয়োগ করে একটা ছোট কাহিনী কে আঁকতে জানিনা কতটা ফুটাতে পারলাম ।