রবীন্দ্র জয়ন্তী ....
কিভাবে পূজিব তব চরণ যুগল
ফিকে হয়ে যায় তব ইতিহাসে , আধুনিকতার ভূগোল।
সকল শক্তির উৎস রবি,
মানবের তরে তুমি দিশারী।
তোমার দীপ্তি আলোকে তুমি দীপ্তময়,
দুই রবির প্রভায় জগত ও জীবন আনন্দময়।
প্রাণের আশা,না বলা কথা,
তোমার বাণীতে স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
ললিত ছন্দে, সুমধুর রাগে,তুলিরআঁচড়ে,
কবিতার চরণে বহুধা আবেগে,রোমান্টিকতায়,
সংগ্রামী চেতনায়,বিজ্ঞান-দর্শন মনস্কতায়,
আধ্যাত্ম মননে ,গল্প-উপন্যাসের জীবন ভাবনায়,
শোকে-দুঃখে,মিলন-বিচ্ছেদে,আশা-নিরাশায়,
আনন্দে-উল্লাসে,বেদনায়----
সবে তে পাই তোমায়।
জীবনের প্রতি পদে তোমার স্বচ্ছন্দ বিচরণ,
মানবের তরে তোমার কত আয়োজন।
সরস্বতীর বরপুত্র ,দিশাহীনের দিশা,
তোমার বাণীর অমৃতধারায়
ধুয়ে যায় সব মলিনতা,
ব্যথিত হৃদয়ের ব্যথার উপশম--
তোমার সৃষ্টির অমিয়ধারা।
তুমি আছো সবখানে,সব কাজে------
দানব-দলনে দেশপ্রেমিকের বেশে
গণহত্যার প্রতিবাদে"নাইট " উপাধি ত্যাগে,
রাখি-উৎসবে সম্প্রীতির বন্ধনে,
সৌন্দর্য-পিয়াসী মননে,
উদ্বেল আবেগঘন প্রেমে
বিরহের মর্মবেদনায় একাকীত্বে,
সত্যের কঠিন-কঠোর বাস্তবে।
ছান্দসিক বিশ্ব-বন্দিত সাহিত্যের শতদল, "গীতাঞ্জলির " স্রষ্টা "নোবেল" বিজয়ী ----
মরণের পরেও অমর তুমি----
বিশ্ব-বীণায় বাজে নিত্য তোমার সুর-লহরী।
বিশ্ব-মানব-মনে -----
তুমি চির কালজয়ী অমর কবি-----
আমার হৃদয়ের নিত্যসঙ্গী।
*কপিরাইট:- অজয় কুমার দে*