এ বাবা খায়ে লে গো , বাজার যাতে হবেক
তু নাই খাবি তো হামি খায়ে লিলি ...
হিন্দু তারাও , একই গ্রাম
সবাই বলে বুনজাত
পেটের দায়ে ,অনেক আগে
লোকের কাছে পেতেছে পাত ।
মায়েরা, মাথায় করে
বোঝা বইতো
শেষ গোধূলিয়, কাদা খিঁচ
মেখে বাড়ি ফিরত।
ইঁদুর - কাঠ বিড়াল,শিকার করে
পুড়িয়ে খেত
আমাদের ,দেখে
খুব লজ্জা পেত।
সন্ধ্যা লাগলে, দারুর
আসর বসত
কিম্বা, সাটুই দলুই পাড়ায়
খেয়ে ফিরত।
ঝগড়া ঝাটি ,লেগেই থাকতো
প্রতিদিন
জমি বিচত ,না থাকলে
করত ঋণ।
তৃতীয় শ্রেণী , অন্তিম পঠন
পেয়ে যেত ইনকাম ঠাঁয়
পনেরো হলে, বিদেশ চলো
ইনকামের তো অভাব নায়।
পোঁচ- সুভাষ -ছোটন -মিঠুন , বন্ধু আমার
বুনো হলেও
সভ্য , বিষাদ সমাজ
আনেনি তারা নিজেদের ভুলেও।
বদলে গেছে , ধাওড়া পাড়া
বুনো গুলান
তিলি -চাষা- মাহিস্য,এখন
উল্টো পুরান ।
বিদেশে খেটে , টাকা এনে
উড়িয়ে দেয়নি নিজের হাতে
অভাব নেয় আর, সবাই ধনি
পাত পাতে না লোকের দ্বারে।
নবজাগরন, আমার স্মৃতি
সবই ঘটলো আমার সামনে
ভুলতে পারিনি , টানা সেই ভাষা গুলান
উত্তলিত হয় আমার মনে ।
কপিরাইট©অজয় কুমার দে