আমাদের মাথা নহে আর তিন, নহে তিনে তিনে ছয়।
যে পথে জান, করিবে দান, আজি তারি কথা কয়।
ঘানি টানার সে দু'শ বছর, ভারত মাতার পরিহাস!
পূর্ব আর পশ্চিম পাক, তাতে কত যে পরিতাপ!
বাক স্বাধীনতার শাল, ভেঙ্গে বঙ্গ মায়ের জনতা;
অস্ত্র হাতে ঝনঝন, সে এসেছিল ক্ষমতা।
আপন করা মায়ের মত এসে নিল ঢের,
তারপর ফিরে এল বাকশাল মা, ফের।
এরি মাঝে এল গেল কত ক্ষমতা ধর;
কন্ঠ হতে ভাষা নিল কেড়ে, কাটিল অধর!
কোথাও নাই আপনার স্থান, আপনার ভাষা,
ব্ঙ্গ মায়ের কোলে এখনো মোদের, রেখেছে করে চাষা।
যে ভাষা তোমায় আরশ হতে ডাকে,
সে ভাষা তোমার ভুমি, নিরাপদ রাখে।
তুমি জেগে উঠো এসো, সে আলোর পথে;
তোমায় ডাকিছে হেকে, হাতে নিয়ে স্বর্গের সাথে।
এ দেশের ফলা কাঁধে তোলে নিল যারা আজ এবে;
বর্গা চাষীর মত খেয়ে নিল, তিন দু'ভাগে তবে।
আমি নকীব, খোদার তরফ হতে ফরমান করিনু জাহির,
আর নই কারো তাবেদারি, এক আল্লাহর আইন হাজির।
এ পথে যে ধরাবে ফাটল, সে হোক না কোন দরবেশ,
তাকে ধরো, হাড় থেকে মাংস আলাদা করো, শেষ করো অবশেষ!
পাঞ্জেরী সম্মুখে, জনতা তাকবির ধরো,
থরথর কম্পনে বাতিলের মসনদ নাড়ো।
হাকিছে তোমাকে চির আলয়ের দিকে;
গোমরাহী থেকে, হয়ো না আর ফিকে।
এক হও মুসলিম শত ভেদাভেদ ভুলে,
যত ফতোয়া রাখো অনেক দূরে তোলে।
সালাতের ঘাটি, করো এক আটি,
এ কথার উপরে হও পরিপাটি।
চল তাকবির ধরো, লুটায়ে পরো চৌদিকে,
নাফরমান হবে বিদায়, বিজয় কেতন দিকে দিকে।
কড়ইবাড়ী ব্রিজ, নবীনগর।
২ কার্তিক, ১৪৩১