শেষ বেলা জীবনের আদি প্রান্তের দিকে,
তাকালেই মনে হত জীবন যেন ফিকে।
বুক চিরে শোকের ক্ষরণ অসৃকে ভেজা,
কোথা যেন রয়ে গেল আমার যত পূজা।
ফিরে এসে বারবার, হারায় দিক বেদিক
এর পরও কূল হারা কোন দিকে ঠিক।
শোকখানি ভরে গেল সুখের সাগরে;
বদনে তোমার আখিঁর তারা হেরে।
তখনই জাগিয়া উঠিল;
পুলকিত মনে, এ নয়নে, নিদ্রার অভাব,
ধুলে উঠে যত অপ্রান্ত খাব;
নেশা আরো বেড়ে গেল যবে তোমার প্রতি;
এ জীবনে হয়ে এলে তুমি অতিথী
স্বপ্ন যবে সত্যি হবে হবে;
দেহের তালে মাতাল যবে উদাস করা আমি
নিদ্রা ভেঙ্গে যাবে, দেখিবে তবে তুমি;
তাকিয়ে তোমার দিকে আমি রয়েছি অপলক,
প্রাতের বেলায় ভাববে তুমি স্বপ্ন দেখলাম ঝলক?
এক সাথে যবে মোরা;
ঐ আঁখিপাতে আছে নেশার দ্রব্যাদি,
যবে প্রয়োজন নিয়েছি আজ অবদি।
হাল ভাঙ্গা জীবনে তাল ফিরে পেতে;
তাই নিতে, তোমাকে দু-দন্ড অবসাদ দিতে।
জীবনের মানদন্ড শেষ বেলায়ে এসে,
যেন চেয়ে দেখি তুমি আছ পাশে।
১ মাঘ ১৪২৩
বড় রাঙ্গামাটিয়া, আশুলিয়া।