সব শ্বালারা জোট বেধেছে, মস্ত করে আজ,
ভিন্ন দেশের কেতন গলে, খেয়ে নিয়েছে লাজ।
হাতটা তাদের শক্ত হবে, ভক্ত হবে সব,
ফন্দি ফিকির করছে তত, ভয়ের করে কলরব।
ওদের যত স্বজন সোনা, পাঠিয়ে দিল তাদের;
পা চাটিয়া, মুখ লুটিয়া, নম নম দাদাদের।
আঁখিপাতে মহাভয়ে, চোখে এখন অন্ধকার;
তাইত এখন পথ দেখেনা, দৌড় পারিছে ঐ পাড়ার।
কষ্ট করে মিষ্ট নিবে, ঐ পথটা কাঁটা অতি,
তাইত তারা ছু্টে চলে, দাদার কাছে মিলে জুতি।
মনটা এখন ভয়ে কাতর দস্যি ছেলের দল হাসে;
কখন যেন কোন খানেতে, কোন বিপদে চলে আসে।
ঐ পাড়েতে পূর্ব পুরুষ দেখে হয়ত ভয়ে নাচে;
আমার মত, তর যদি হয়, পরে যাবি এক কানাচে।
দিশেহারা জনরোষ আজ পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে!
ফুসে উঠলে এ সময়ে, কখন কোন যে খেয়ালে?
বিচ্ছিন্ন আজ এ জাতি মত্ত খোলে হাসেনা,
সত্যটা আজ তারাও জানে, ভাবভঙ্গিতে বুঝেনা।
মায়ের মুখে কালি মাখে, আঁচল ছিড়ে বে জাতি;
তাদের তুমি চিনে রাখো তারা কভু নই জ্ঞাতি,
মাগো তুমি এখন লেংটা ওগো বুঝবে যবে এ জাতি!
তখন তারা ঐ পারেতে, হয়ে যাবে ঐ বে জাতি।
মত্ত করে হাসা তবে ভুলে যাবে এ জাতি,
মীর জাফর তার সঙ্গী পাবে, হবে তার বন্ধু অতি।
চোখ সরেনি এ জনমে শকুন যত এ ধরায়,
মত্ত করে অট্ট হাসি ধর্ষনেরই লিলা খেলায়;
আমার মায়ে আচল ছেড়া, কালি মাখা মুখ দেখে!
শকুনেরা মত্ত হাসে রক্ত ভেজা ঐ নখে।
পালিয়ে যা ভিতুর জাতি রক্ত গরম এখানে,
আর তো কেহ চাইনা তোদের, ফোসে উঠি সবখানে।
মারব যবে, মারবে জাতি, দিবে যত কিল ঘুষি!
রক্ত মাংস এক হয়ে আজ হয়ে যাবে গু-ভূষি।
পালিয়া যা এ দেশ থেকে সময় আর নাই যে বড়;
সুযোগ দিলাম কাজে লাগা,নইত হবি নড়বড়।
০৭ চৈত্র ১৪২৪
বড় রাঙ্গামাটিয়া, সাভার।