আমি কবি, তাই লেখি কবিতা
অথবা গান,
যা সুন্দর তাতে তাকায় অপলক;
মনের অজান্তেই বাজে বীণা,
ধোপ করে উঠে হৃদয় ধ্বনি।
আমার প্রথমা উদগিরিত সমে,
প্রণয় যত বিলানো হয়ে গেছে,
আর বাকি নাই লেশ;
জীবনের শেষ প্রান্তে আমি,
আজ তারি দেখা পাই;
যে মেটুলিতে করে নিল ঠাই।
ধোপ করে উঠা হদয় ধ্বনি!
আলেয়ার আলোর মত মানি;
যত আসে আর যাই আসুক,
মোর নেত্র কোনের চাহনিতে
এ মন যত হাসুক,
জানি এ ক্ষণিকের উচাটন,
দুহের মাঝে দূরক্ষনে যাই হোক,
এযে ক্ষনিকের তরে ক্ষণিক পরে;
যা আছে টুটে দূরে,
এর পর ফিরে যাই সে প্রথমা সমে।
যত সুন্দর হেরে এ মন যত হয় উদাস!
একপিসে মন ঠেকে যাই কোনে,
জানি ক্ষনিকের তরে এ উল্লাস।
তুবুও চলার পথে উদাসিন মনে,
নেত্র যোগল যবে তাকাই দিক বেদিক,
সুন্দর যত হেরে নিতে চাই,
হৃদয় মাঝে ক্ষনিকের ঠাই,
এরপর ফিরে যাই সে প্রথমা সমে।
কল্পনা করি ফিরি, কবি যবে হয়,
সুন্দরো মাঝে আপনার লয়।
ক্ষনিক বাদেই যবে ভাঙ্গে স্বপন,
সুন্দর যা তা সুন্দর রই,
ভাবি যা তা আপনার নই।
তুবুও চায় অপলক,
ক্ষনিকের তরে আপনার মাঝে,
কত স্বপনের দেই উকি।
তোমার নেত্র কোনে সুন্দর হেরে;
যদি না দেই কোন স্বপ্ন উকি?
নপুংসক তুমি অথবা মিথ্যেবাদি,
এরপর রয়ে যাই অবলার কথা
চোখের কোনে চাইনা অপলক দৃষ্টিতে,
একবার দেখে নিয়ে, হয় সে শীর নত;
কথার ঝুড়ি নিয়ে বসে যায় শতত
বুকের মাঝে সুখ বাধে রমনীর মত!
নীরবে সুর তোলে যত না বলা কথার,
বালা তবে গান গায় সুরষীর ব্যাথার,
সুন্দর হেরে রামা স্বপ্ন বোনে আভরন;
সপুংসক হেরে জুরাবে বালার নয়ন।
যত সুন্দর হেরে যত পাই ক্ষনিক উল্লাস,
এ যে ক্ষনিকের ই বাস,
তাই সব ছেড়ে ফিরে যাই প্রথমা সমে।
২৯ আশ্বিন ১৪২৬
বড় রাঙ্গামাটিয়া আশুলিয়া