ওগো কথা কওয়া মোর পাখি, কথা কও ওরে;
আমার ও পরাণ যে নিভে আসে টুটে দূরে,
যা এসে হৃদয়ে গেঁথেছে, তা তব কথার সুর;
আমি তা শুনে পার করিতে পারি কত যে ভোর।
ওগো শুনো মোর অপলা, আমি ভাবি সারা বেলা;
কোথা' যে হারিয়ে যায় এ মন দূর একলা,
ক্ষানিক বাদে মোর কল্পনা যবে যায় টুটে,
আমি খোজে ফিরি তোমা' কোথা' আছো কোন পটে।
সারা বেলা মোর কাটে একলা ভাবিয়া তোমায়;
কথা বলা পাখি, মোরা দুরে কোথাও না যায়,
আমার পরানের 'পরে খোজে ফেরি পরানে রাখি ধরে,
পরানের তরে কথা কও, নই পরাণ নিভিয়া যায় ওরে।
সকরুন হাসির ছলে, লাজে ভরে কথা কয়েছিলে যবে,
আকাশের পানে চেয়ে প্রথমা দিনে, এইত সে দিন হবে।
হারিয়ে যাও কোথায় এখনো এ আঁখিপানে চেয়ে,
কত কথা বলিবার চাও, যা আসে তব হৃদয় নিয়ে।
সকরুন হাসির ছলে, লাজে ভরে কথা কয়েছিলে যবে,
আকাশের পানে চেয়ে প্রথমা দিনে, এইত সে দিন হবে।
হারিয়ে যাও কোথায় এখনো এ আঁখিপানে চেয়ে,
কত কথা বলিবার চাও, যা আসে তব হৃদয় নিয়ে।
যা এসেছে এ হৃদয়ে, তা তব হৃদয়ের বাণী,
শুধু কথা যাও বলে, হৃদয়ে রাখো মোরে, ধরো মোর পাণি।
স্মৃতিগুলো মনের বতায়নে উকি মারে ক্ষনে ক্ষনে,
নদীর বাঁকে দুজনে, বিজনে কত কথা হল আছে তা মনে।
কত ছলে, কৌশলে, একটু ছুয়ে দিতে, মনের অজান্তে হয়ে যেত;
হৃদয় মম, সেই ক্ষনে কত সুখ পেত।
যত স্মৃতি মোর তোমায় ঘিরে , উচাটন রাখে মোরে!
যদি কথা না কও, আমি কোথা যাবো ফিরে?
হৃদয়ের তরে হৃদয়ের উল্লাস, কভু করোনা মোরে পরিহাস;
আমারো পরানে যে করে নিলে ঠাই, এ মোর উচ্ছাস,
নিয়তির তরে যদি মোরা চলে যায় বহু দুরে,
শুধু কথা কইয় তুমি যবে পরানে পরিরে মোরে।
নন্দিপাড়া, নরসিংদী
০৫ কার্তিক, ১৪৩১ বাংলা