অসীম কামনা যার মন করেছে লয়;
ধীরে ধীরে নীতি হয়েছে অবক্ষয়।
কামনার দ্বার প্রান্তে পেয়ে গেল গতি;
এর পর করে গেল শুধু আরতি।
পূজাতে বসিয়া মগন ধ্যানে একাগ্রতা,
বিলিয়ে কায়া আপন মায়ায়,
নিয়েছ পূর্নতা।
ভুলিয়া গিয়াছে পশু আর আপন ব্যাবধান,
এত আর কেহ নই ছিল শইতান।
পূজার ডালা নিয়েছে ঢালিয়া
দেহ করেছে ভার,
ভুলে গেছে কে যে মোরা
এর পরও বারংবার।
শুধা আর ক্ষুধা যবে মিলে হল একাকার,
এর পরও চেয়ে দেখে, হবে আরো একবার।
কামনার ব্যবধান যারা ভাঙ্গিয়া দিয়েছে,
কলুশিত করেছ সমাজ,
তাদেরই আজ গান গাওয়া হয়;
যেন জয় হল জারজ।
উঠে গেছে লজ্জা তার, কামনা নিয়েছে কেড়ে;
পশু আর মানবের ব্যবধান টুটেছে দূরে।
যে শিশু আসিল ধরায় তার কি দোষ?
এ যে কামনার ফল যা আসিছে, হতে আদি ক্রোশ।
যে নারী বিলায়েছে কামনা দাহে, তার সম্পদ,
অমূল্য ছিল তার, সে ধন, বুঝেনি কমবখত।
লয় বিলয় খেলায় হেরে গেল সে।
তবুও কামনার দ্বারে ভুলে যায় সব,
ফিরে গিয়ে করে ফের কামনার উৎসব।
এভাবেই চলে আসে অনাকাঙ্খিত ধন।
জারজের উৎসবে আজি পৃথিবী বড় ভার!
এর থেকে হবে কবে প্রতিকার।
আদি থেকে চলে আসা এ সৃষ্টি কামনা;
হোক না সু-পথে মিটে যাক যত যাতনা।
বড় রাঙ্গামাটিয়া, আশুলিয়া।
৩০ চৈত্র ১৪২৩