পদ্ম , মেঘনা , যমুনা, যত নদ নদীর নীরে;
তরণীরা পাল তুলে সাতার কাাঁটে।
ঝটিকা হাওয়ায় কাল বশেখি ঝড়!
ধুনি, নদের তোয় করে ঝরমর।
কেহ জানেনা কভু আসিবে তার অমানিষা!
ঘিড়ে ফেলিবে সর্বত্র যা মহানিষা।
ভেঙ্গে যাবে অর্থ সমাজ পরিবার হবে বেদিশা!
দেশ হাড়াবে তার পুন্য সন্তান, হারাবে আশা!
বাবা হাড়ায়ে তার ছেলেকে, মা হাড়ায়ে সন্তান;
মা শোকে পাথর হয়ে , বাবা করিবে দাফন,
আর আসিবেনা তার , ফিরে সন্তান , কোন জনমে!
বাবা –মা বলে ডাকিবেনা আর ডাকত যেমনে।
বাবা আসিবেনা ফিরে সন্তানের কাছে!
মা, স্বামী শোকে পাগল হয়ে নাঁচে,
ছেলে বাবাকে হাড়ায়ে পরিবার হল অচল,
মা দতি পরে কামড়ায় আচল!
দু’চোখের অশ্রু ঝরে, করে টলমল!
মা এখন বাবার শোকে হয়েছে পাগল,
ছেলে ধরেছে হাল, পারেনা আর;
ভেঙ্গে পরে দুবাহু ক্লান্তিতে হাহাকার।
মা নেই বেঁচে ছেলে কাঁদে কষে!
নিয়েছে ঐ মেঘনা, যমুনা, পদ্মা, ধরা হতে মুছে!
বোন কাঁদে মার তরে, ছেলে হাড়ায়ে মাকে
অশ্রু ঝড়ে পরে আখি থেকে ঝাকে ঝাকে,
বাবার চোখে লেগেছে নিষা দেখে সংসারের হালচাল;
কোথা থেকে কি যেন হয়ে গেল, করে দিল বানচাল।
নিয়েছে মেয়েকে কেড়ে পদ্মার জ্বলে;
আসিবেনা আর ফিরে মোদের নীড়ে!
মেয়ে হাড়ার ব্যাথায়, ভাই পাগল হয়ে যায়।
কি নিদারুণ দৃষ্য চোখে ভাসে হায়।
কোন পরিবার সবি গেল ভেসে!
প্রদীপ জালাবার সংসারে নেই কেহ পাশে;
মেয়ের জন্য নানু কাঁদে, বোনের জন্য মাসি।
নাতি হাড়া বেদনায় নানা যেন নেই ফাঁসি!
মামা কাঁদে , কেঁদে করে হাহাকার
কে যেন তারে করেছে অবিচার,
নই তা, সোহাগের ছোট বোন হাড়ায়ে
কাঁদে কাঁদে সারা গ্রাম জড়ায়ে।
আতœীয় স্বজন বড় আপন জন,
তাদের হারাবার ব্যাথায় কাঁদেনা কোন মন?
তরী পার হবে তোরা হয়ে সাবধান,
ভরা করে নিলে হওয়া থাকে অম্মান;
ডোবিয়া মরিবি তবে না রাখিলে তরীভার।
এমনি মরিরব তোরা নাই আর নিস্তার।
দিন দেখে গান শোনে তব নাও চালা;
হয়ত থাকিবেনা আর কোন বুকে জ্বালা।
যাত্রী ভরা করে ক্ষণ পয়সা লোভে
ডোবিলে ঐ মাঝ দরিয়ায় কি লাভ হবে?
নিমেষে সিক্ত হবে তোর কোটি জাহাজ।
থেমে যাবে তোর উপার্জনের কাজ।
নাবিক আর যত নৌচারি হও সাবধান;
সময় মেনে চলে বাঁচাও আপন প্রাণ।
গাবতলী নরসিংদী
৫ ফাল্গুন ১৪১৪