নিপীড়িত মানবতা, বুলি যায় থমকে;
কোথা থেকে কে যেন কি ভাবে ধমকে!
কোথা যেন প্রতিবাদ? ভুলে গেলো তিতুমীর!
বাঁশঝাড় মরে গেছে, ভেবে মোরা নত শীর।
প্রতিবাদ থেমে গেছে নয় মোরা চঞ্চল,
রক্তের শিরাগুলো আছে যদিও অবিকল।
চোখ মেলে দেখি যখন চারদিকে অনাচার,
ভাবি আমি ভাল আছি, যাক গোল্লায় দেশাচার।
মরছে যে বেঁচে গেছে, এর পর বর্তাবে
ফিরে এসে আমার উপর সে ঘা পর্তাবে।
ভেবে মোরা নিশ্চুপ করিনাকো প্রতিবাদ,
এভাবেতো ক্ষয়ে যায় জীবনের যত সাধ।
জীবনের দরদাম সস্তায় বিকিয়ে,
ভুলে গেছি আমি কে, চারদিক ফিকে য়ে।
অশান্ত পাঞ্জেরী, দেশটা যে ছেড়া পাল
হাওয়া এসে ঝাপটায়, এ কোন হলো হাল?
মরছে যে জনগন, ঠিক নাই দরদাম,
ভোগ্যপণ্য তো, দাম বাড়ে হরদম।
সস্তায় পাওয়া গেলে জনগন হয় খুশি,
তবে কিষাণে চিন্তিত, নেমে এল ঘোর নিশি।
নেই কোন সমাধান, নেই কোন সমতা,
পাঞ্জেরী বলে যাও, কোথা খাটাও ক্ষমতা?
বাড়ছেতো দরদাম, পরছেতো কষাঘাত,
নিপীড়িত মানবতা, হও পাঞ্জেরী উৎখাত।
জানেনাতো জনগন, কিযে তার অধিকার,
হয় তারা বঞ্চিত, কবে হবে প্রতিকার,
কার কাছে চাবে সে করে এক চিৎকার;
পাঞ্জেরী বলে যাও, নয় নিয়ে যাও ধিক্কার।
সমাজের পাটাতন দিবো মোরা উল্টিয়ে,
তিতুমীর ফিরে এসো সব বাধা পাল্টিয়ে।
যত আছে অধিকার দিয়ে দাও পাঞ্জেরী,
দেশটাতো আমাদের, তোমাকে যে কি করি।
শপথ নেওয়ার হয়েছে সময় ছড়াতে সুরভী।
মুছে যাক যত বিষে ভরা ক্রেদ হয়ে করবী,
ফিরে এসেছি এবার বুঝে নিতে দরদাম,
এসো মোর ভাই ভ্রাতা এক সাথে করদম।
আশুলিয়া, সাভার।
১০ অগ্রহায়ণ, ১৪২৬