জীবনের বাঁকে, কে বা কবে আসে,
আভাস নাহি থাকে, এসে যায় পাশে।
আপনার চেয়ে আপন করে,
ঠাই করে নেই হৃদয়ের ডোরে।
পলকে পলকে, মনের ঝলকে,
স্বরনে এসে কড়া নেড়ে থাকে;
এমন ও তারে কি দূরে রাখা যায়?
মেটুলিতে হয়েছে যার ঠাই!
আঁখি মোদিলে যার ছবি ভাসে,
মনের গভীরে পাই তারে পাশে।
শত বাঁধা পেরিয়ে মোরা দু'জনে,
একে অপরে আজ কত আপনে।
কেমনে করে তারে দূরে রাখি,
নয়নে ভাসে সদা, দেখি মোদিলে আঁখি।
কোন সে ক্ষনে কি কাজে এসে,
কথা কয়েছিলে লাজ বেশে।
মোর মনে রয়ে গেল সে ক্ষনিকের কাল,
দু'দিন বাদে দেখা হল কোন এক বিকাল।
সে দিন ও এসেছিলে মোর শিয়রে,
লাজ ভরে কথা কয়েছিল অধরে;
এ মনে আকিল তা ক্ষনিকের তরে,
এখন তা না হলে মরি একে অপরে।
এমনও নিগূঢ় বাঁধনে বাধিলা মোরে,
দোল খাও সারা বেলা হৃদয় ডোরে।
এর পর কতবার এলে মোর পাশে,
আকাশের পানে চেয়ে শধু লাজ বেশে।
যত লাজে, তত সাজে তোমার রূপ
এ আঁখিপাতে তব লাগে আরো অপরূপ।
যে দিন তুমি কথা কয়েছিলে দূর থেকে,
মনের গহীনে, নীড় করে নিলে আমাকে।
সে থেকে আঁখি খোজে বারে বারে,
এমনি করে আসিলে, দূর থেকে দূরে।
কথার পিঠে কথা, একে অপরে,
সকাল, রাত, কিনবা ভর দুপুরে।
শান্ত দুপুর শেষে বসে নদীর তীরে,
দু'জনে পাশাপাশি কোন সে নীড়ে।
তাসবির তব, যবে মোর নয়নে আসে,
ছিলাম মোরা আমাদেরি আশে পাশে।
নদীর ওপারে, গোধুলি লগনে,
কত আপন মোরা, কত যে স্বপনে।
ঐ দূরদেশে, তারে লয়ে আনিতে,
গিয়েছি কত, হিয়ায় তারে নিতে।
সে দিন তার জন্মদিনে,
গিয়েছি তারে লয়ে আপনে;
নদীর জলে পা ফেলে দু'হে করেছি খেলা;
পাথরে বসে পাশাপাশি, আর কত ছলা কালা।
মনের গভীর আশা কত ভালবাসা এখন,
একে অপরের হয় কিছু মধুর শাষন।
জানি এভাবে চলিবে আরো কত কাল,
আমি না চাই কভু, আসুক অস্তমিত বিকাল।
নিয়তির তরে এ যদি হয় অবসান।
আমার আশাগুলো নিঃশ্বেসে কারে করিব দান?
হৃদয়ের তরে হৃদয় পুড়ে, জমাবো অঢেল ছায়।
আমি তোমারে শেষ বেলাই ও পাশে চাই।
ওপারে ও পাশে চাই, তাই তুমি করেছ
এ হৃদয়ে ঠাই।
নন্দিপাড়া, নরসিংদী
২৬ কার্তিক, ১৪৩১ বাংলা।