অফিস ফেরৎ বেহিসাবী হওয়ার সুযোগ নেই,
অরণ্যের অচেনা পথের মতো
নিশানা চিনে চিনে ঘরে ফেরা
সযত্নে জমা খরচের তাকে তুলে রাখা দিন।

এইভাবে ঘুরছে বছর, ভিড় মিনিবাসে
ধৃত পকেটমারের করুণ আর্তিতে।
রেলিঙে হেলান দেওয়া ভিখারিনীকে
পরিচিত মনে হলেও ফিরে তাকাই না।

আজকাল ছুটির দিনে জমানো দিনগুলি
স্মৃতির তাক থেকে নামাই,
ধুয়ে মুছে যথাস্থানে রাখি
আমারই জীবনের অর্থহীন কিছু দিন।




অফিস ফেরৎ দৃষ্টি ঝাপসা হয়
শববাহী মিছিলের দিকে অপলক চেয়ে থাকি
কার মুখ – অন্তত আমার ন্য।
দৃষ্টির আড়ালে থাকে উলঙ্গ পথ শিশু।

উঠতি নায়িকার অর্ধ নগ্ন বিজ্ঞাপন,
বাসের চাকায় থেঁতলানো পথিকের ঘিলু,
রাস্তার দুধারে উপচানো কদর্য জঞ্জালে
মানুষের ভ্রূণ – স্বাভাবিক মনে হয়।

অফিস ফেরৎ  বিবেক ঘুমিয়ে পড়ে,
বিবেক বিহীন ক্লান্ত শারীর টানতে টানতে
আরও একবার নিয়মিত ঘরে ফেরা।


অফিস ফেরৎ  আর কোনো সুখ দুঃখ নেই,
লোভ, হিন্সা, মায়া, মমতাহীন মাস্তিস্ক নিয়ে
ক্রমশ আতিকায় যন্ত্রমানাব হয়ে উঠি।



হিসাব মেলানোই শেষ কথা গণিতের জগতে,
কখন যে চলে যায় দিন, সন্ধ্যে আসে
কখন যে সান্তানের শৈশব চলে যায়
সে হিসাব কেউ করতে বলেনি।

ভিড় ট্রেনে জানলা আটকে
বিনোদনহীন ব্রিজে – স্টেশনের নাম পালটায়,
ঘরে ফেরার জন্য অধীর হয়ে ওঠে
আপাদমস্তক অফিসের এক লোক।