তোমরা কি জানো সেই মহামানবের জীবন কাহিনী,
যার জন্ম না হলে আঁধারে থেকে যেত এই ধরনী?
তবে শোনো!
এক সুন্দর রাতে আমেনা মায়ের গর্ভে এক শিশু জন্ম নেয় অন্ধকার আরবে,
ঐ রাতে এই ধরার সবগুলো মূর্তি নত হয় মাটির দিকে।
ঐ পবিত্র শিশুর জন্মে,
রহমাত নেমে আসে সমস্ত সৃষ্টির মাঝে।
সেই রাতে একটি আলো দৃশ্যমান হয় হিজাজে,
ধীরে ধীরে ঐ আলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো ধরণীতে।
হাজার বছরের প্রজ্বলিত আলো নিভে যায়
পারস্যের অগ্নি উপাসনালয়ে,
কেননা খোদার বার্তাবাহকের জন্ম হয়েছে দুনিয়াতে।
এই শিশুরই নাম রাখা হয় মুহাম্মাদ,
খোদা তা'আলা তাঁর আপন মহিমায় পাঠালেন এই রহমাত।
যুবক বয়সে সারা জাহানে তিনি প্রচার শুরু করলেন শান্তি আর মানবতার,
চল্লিশ বছরে ফেরেশতা জিবরাইল মারফত সুসংবাদ পেলেন, তিনিই নবী আল্লাহর।
মূর্তি পূজারী আরবদেরই মাঝে তিনি দিলেন ঘোষণা,
সারা দুনিয়ার খোদা দ্বিতীয় কেউ নেই এক আল্লাহ ছাড়া।
বর্বর আরব জাতির মাঝে তিনি প্রচার করলেন শান্তির বাণী,
খোদার তরফ থেকে তিনি আনলেন 'কুরআন' নামক মহাগ্রন্থটি।
সকল অন্যায়, অসত্য, মিথ্যা কুপ্রথার বিরুদ্ধে তিনি শুরু করলেন সংগ্রাম,
তিনিইতো সর্বশেষ, সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
নারী, শিশুসহ সকলকেই খোদার তরফ থেকে তিনি দিলেন প্রাপ্য সম্মান,
মাত্র তেইশ বছরে অন্ধকার আরবসহ পুরো দুনিয়াকে তিনি উপহার দিলেন মহাসত্যের পরিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশ্বরিক বিধান।
'ইসলাম' নামক পরশপাথর তিনি আনলেন মানবমুক্তির তরে,
যার ছোঁয়ায় আমরা পেয়েছি আবু বকর, উমর, উসমান, আলীর মতো মহাজ্ঞানী, মহাবীরসহ আরও বহু শ্রেষ্ঠ মানবকে।
হে পয়গম্বরদের সর্দার,
তোমার পবিত্র জীবনী কেমনে বলব আমি যে অধম হীন
তুমি শ্রেষ্ঠ রসুল রহমাতুল্লিল আলামিন।
তোমায় না দেখার কি যে যন্ত্রণা তা বুঝানোর মতো নয়,
স্বপ্নেও যদি একবার তোমার সাথে দেখা হয়!
সালাম নিও ওগো দয়াল নবী,
সালাম নিও ওগো প্রাণের চেয়েও প্রিয় নবী।
একবার হলেও যেন তোমায় দেখি স্বপ্নে,
এই আশায় ঘুমাই আমি রাতে।
তোমার নাম যখনই শুনতে পাই,
এই অধমের দু'চোখ বেয়ে অশ্রু নেমে যায়।
সবশেষে প্রভুর নিকট একটাই ফরিয়াদ,
আমি যেন হতে পারি মুহাম্মাদ রসূলের একজন প্রকৃত উম্মাত।