সমাজের শুমারীতে বাড়ছে শয়তান
নেই ভগবান , নেই কোনো ভগবান!
অমাবস্যার জমা আধারে, আমার ছায়া করে নৃত্য
আমার বিষাদ চোখে, আগুনের ক্রোধ জ্বলে অনন্ত।
আয়নায় দেখি অতীত, শুনি ভয়ার্ত কণ্ঠস্বর
রুহের হত্যার ইশতেহার নিয়ে এসেছে মানুষ কত!
সবার অভিযোগ এক করে দেখি
যেন আমি সন্ত্রাস! রক্ত চুষি সভ্যতার
আমি গুনেগার, আমি শয়তান
যেন আমি রক্তের ত্রাস, আমি শয়তান!
প্রতি রাতে আমার পৃথিবীতে আসে শয়তান
অমাবস্যার কালো কেতন উড়ায় আমার ভিতরে।
রক্তের ভোজে অবিচার সমাজ
আমাকে বানিয়েছে শয়তান!
হ্যাঁ, আমি শয়তান! আমি শয়তান! আমি শয়তান!
বিধাতার কাছে গিয়ে নেই কোনো লাভ
আমি বিধাতা! আমি শয়তান!
নরকের আগুনে পুড়লেও মনে হবে
স্বর্গের অমরাবতীর এই বাগান।
দেবতা বলতে কেউ নেই এখানে
তুমি দেবতা! তুমি বিধাতা!তুমি শয়তান !
করো লাল রক্তের স্নান, গায়ে মেখে নাও স্বার্থ
প্রশ্বাসে নাও তুমি হিংসা,অবিচারের সমাজে
তুমি হবে ত্রাতা
মিলিয়ে নিও ভ্রাতা ।
আমি শয়তান! আমি বিধাতা! আমি দেবতা!
তুমি শয়তান! তুমি বিধাতা! তুমি দেবতা!
সব শয়তান!
একে একে হচ্ছে সব শয়তান!
সমাজের শুমারীতে বাড়ছে শয়তান
নেই ভগবান , নেই কোনো ভগবান!
সত্য যুগ মিলিয়ে গেছে মাটিতে, পানিতে, বাতাসে
অস্তিত্ব বেঁচে দিয়ে, করেছে দাফন নিজের মেরুদণ্ড।
কল্কি এসেছে ধর্মের বেশে
ধর্মের মাঝে ধর্মের ভীড়ে
ধর্মের বড়াইয়ে ধর্মের লড়াইয়ে
ধর্মের নামে রক্তের হোলিতে ।
কল্কি এসেছে কালো চাদরে মোড়ানো
শয়তান বেশে সমাজের মাঝে
সমাজের চোখে সততার নাকাবে!
সে বলছে ভগবান নিজেকে
বাহ্! বাহ্! বাহ্!
সে বলছে ভগবান নিজেকে ।
আমি কল্কি! আমি অবতার!
আমি শয়তান! আমি কালো জাদুকরী!
আমি রক্তের জিহাদে ধর্ম পূজি
ধর্মের দোয়াতে শরীর খুঁজি।
আমি শয়তান! আমি বিধাতা!
আমার মাঝে দুই সত্তা।
সমাজের শুমারীতে বাড়ছে শয়তান
নেই ভগবান, নেই কোনো ভগবান!