আমি এক কথক
বিক্ষত মনের যুবক
খোলাচিঠিতে লিখি কাব্য
প্রাপকহীন ঠিকানায় পাঠিয়ে চলি প্রতিনিয়ত।

কেউ ভালোবেসেছিলো একবার
আমি সেটা উপলব্ধি করেছিলাম
ভেবেছিলাম এটাই আদি সত্য হয়তো
যা নিয়ে বাঁচাবো, তাঁকে নিয়ে বাঁচবো
এটাই ছিলো অঙ্গীকার।
পরিশেষে বন্ধু সম্বোধনে
বোকা করে চলে গেছে কয়েকবার।

আমি পারিনি নিজেকে সামলাতে
কষ্টের ভেতরে জন্ম নিলো
অব্যক্ত কবিতার ভাণ্ডার।

কথক রূপে কষ্ট বলছি আমার
এসব অতি সামান্য
তবুও হৃদয়ে জমিয়েছে বিক্ষত স্মৃতির বিস্তার।

এই বোবাদের শহরে,
কথক খুঁজে কাকে?
যাকে লিখেছিলো চিঠি!
দিয়েছিলো গোলাপ!
আর বুনেছিলো কল্পনীয় ইতি!

কথকের বুক জুড়ে
বাজে শুধু আর্তচিৎকার।
ভালোবাসার রঙিন উৎসব মিছে গেছে
অতীত কালো আঁধার
তিতো অনুভূতি অবিশ্বাস্যের চোখে মাপে
সবার মিথ্যে প্রচার।

কথক শুধু চায় একজন ভৈরবী
যে তাকে ভালোবাসবে সবসময়
কথকও বাসবে ভালো একমাত্র ভৈরবীকেই।

কিন্তু কথকের প্রয়োজন কাবেরীর মতো চরিত্র
যাকে নিয়ে লিখবে গল্প, কাহিনী,কবিতা
আর হাজার খানেক খোলা চিঠি।
লেখা শেষে সব ছুড়ে ফেলে দেবে
যত জন্মানো অবাস্তব অনুভূতি।

কথক শুধু চায় একজন ভৈরবী
যাকে নিয়ে সে থাকবে সুখী।


বি.দ্র. আমার কবিতার মধ্যে যেখানে ভৈরবী উল্লেখ্য থাকে সেটা অর্ধাঙ্গিনী বা স্ত্রীকে নির্দেশ করে। আর কাবেরী চরিত্রটি প্রাক্তন প্রেমিকাকে নির্দেশ করে।