কবিতা কবরে জন্ম নেয়
কবরেই বাড়ে যৌবনে
বয়সের তালে দৌড়ে
প্রেম বিচ্ছেদের সাগরে।
আমার জন্ম বেড়ে ওঠা
কফিনের দেয়ালে
ভূত হয়ে রয়ে ছিলাম
ওঝার বোতলে।
কবিতার ভূত মরে বাঁচে
দাফন কাফনে।
আমি পুরুষ
নই ভীতু ভূতের আক্রোশে ।
ভূতে ধরলো মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষে
জন্ম নিলো পুরনো চোখের দৃষ্টি,
অতীতকালের বিস্মৃতি!
চোখে ভাসলো জ্বলন্ত আগুনের শিখা!
দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দিচ্ছে আমার লঙ্কাপুরী।
আমি নাকি ভন্ড! পাপী! দোষী!
সে আমাকে অগ্নির তেজে দীক্ষিত করবে!
কি আশা তার? আমি তাজ্জব!
আমি মৃত আমার শরীরে
কম্বল জড়িয়ে বৃষ্টিতে ঘুমিয়ে
কবিতার ভূত আমার আত্মার অস্তিত্বে
যজ্ঞে বশ করেছে আমার ঈশ্বরকে।
কবিতার ভূত মরে বাঁচে
শুধু শুধু কষ্ট দেয় আমাকে
আমি ক্লান্ত নির্ঘুম রাত জাগা কলমে
বিরক্ত আমি আড্ডায় বসে নোটপ্যাড হাতে।
কবিতার ভূত মরে বাঁচে
জনসভার আড়ালে,
বিনানুমতিতে বিজ্ঞাপন ছাপে
কবরের উষ্ণতা শীতলতার কোন্দলে।
কবিতার জন্ম কবরে
কবিতার জন্ম প্রেম বিচ্ছেদের সাগরে
কবিতার জন্ম বেদনার ডাস্টবিনে
কবিতার জন্ম জ্বলন্ত আগুনে।
কবিতার জন্ম কবিতার মৃত্যু
সৃষ্টির ধ্বংস সৃষ্টির শুরু।
কবিতার মরে বাঁচে
শুধু শুধু কষ্ট দেয় আমাকে।