আসমানীর সাদা মনে
কলঙ্কের কালো মেঘ
বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিবে
নশ্বর কবজের প্রতি ভাঁজে।
বায়ুর স্বাদ নিতে
হাওয়াই মিঠাই খেলো
চুপটি করে লুকিয়ে
গাছের ছায়ায় বসে।
সাতটা রঙের ছাপ মাখছে
অভিমানী মুখের ক্যানভাসে।
আসমানী মেঘের স্বরে তাল মিলালো
তারপর কি হলো জানো?
গর্জে উঠলো মেঘ
হঠাৎ সৃষ্ট কারফিউ এ
ওঁ ওঁ ওঁ
শব্দের ঝংকারে।
কীর্তনে কীর্তনে হরিনামে মেতে উঠে
সেই মধুর তীক্ষ্ণ কম্পনের দরুনে
ডাক শুনে নেমে আসে ধরনীতে
খোদ নারদ মুনি;নটরাজের সাথে।
একলা একলা অভিমানে
হারিয়ে বসে নিজের ধর্ম।
বেহায়া অভিমান মুখ লুকিয়ে
মায়াদেবীর মতো হেসে উঠলো।
সে হাসি বড় চেনা!
এতো ইন্ধুশ্রীর লালচে মোহ মায়া।
আসমানী ভুল বুঝেছে!
চোখ খুলে ; চোখ বুজেছে।
এবার আসমানী আকাশে হাত মেলালো
গলা মেলালো তেপান্তরে
দৃঢ় বন্ধনে জড়ালো
এক অমাবস্যার রাতে।
আসমান ডাকে তাঁরে আসমানী
জমিন ডাকে তাঁরে মেদিনী
সলিল ডাকে তাঁরে পুষ্করিণী
আমি ডাকি তাঁরে ইন্ধুশ্রী।
সে তো আমার রোজকার আত্মীয়
প্রকৃতিতে তার রূপ যেন বিস্তৃত।
আজ জাদুর কাঠিতে
আসমানী গাঁথছে
নিত্য নতুন রূপকথার গল্প।
ইতি টান হবে না যদিও!
তবুও মনে সংশয় পরে রয়।