যুগ যুগ ধরে,
নীরব ঘাতকের জ্বরে আক্রান্ত।
মায়ার জোছনা
ছাতিম গাছের তলে আজও।
কুঁজো হয়ে বসে ;শীতল বাতাস মাখে
মেঠো পথে এগিয়ে যায়
ছেড়ে যাওয়া শরীরের ছায়াদলও!
দূরবীনে চোখ রেখে,
মনকে অশান্ত করে তোলে।
লাল রঙা শাড়ীতে গোছানো সে!
তার চুরিগুলোর আলো ফুরায় ;
জেগে ওঠে স্মৃতির স্মারক হয়ে!
যেন কোটি কোটি সন্ধা মালতী  
ফুটে উঠেছে চিত্তাকর্ষক যাদুতে।
একরাশ দমকা হাওয়ায় উড়ে যায়
তার বাধা চুলের ফিতা ;
এলোমেলো চলে মনের ঘোড় গাড়িটা।

একা থাকতে চায় অজানা সংশয়,
বিদ্রোহী কবিতারা
প্রশ্নের ভয়ে ভয়ে ঘুমিয়ে যায়।
জেলের কুঠরীতে বন্দী অনুভবে
মার্সি পিটিশনের জন্য হন্য হয়।
শেষ যাত্রী হয়ে
ঘোড় গাড়িতে পড়ে রয়
টিপের কৃষ্ণকায় চাহনি তাকায় অবাক হয়ে
কী যেন আজ মৃত!
তাঁরই সংকেত দেয়।

ছাতিম তলে নেমে যায়
পাপ মোচনের তাগিদে।
ভবের নদী পাড়ি  দেয়
সে লাল শাড়িতে !