হাতদুটো ধরে হাঁটতে চাই
যদি রাজি থাকো
চুলগুলো নিয়ে খেলতে চাই
যদি বাজিতে হারো!
তোমার নেশায় আমি আসক্ত
ডোপামিন মাথা থেকে বের হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
যদি ছুয়ে দাও আমার নাকের অগ্রভাগ
আমি ছুটে যাবো তোমার বাড়ির দরজা পর্যন্ত।
এসো বেলকনিতে,
দাঁড়িয়ে থেকো কোনো ছবির গল্পের মতো।
একগুচ্ছ গোলাপ থাকবে আমার হাতে
তুমি সেজো বেলীফুলের গাজরায়
আমি দম বন্ধ হয়ে থাকবো কিছুটা সময়!
এক পশলা নিয়ন আলোর ঝরে
দেখবো তোমায় নতুন করে।
টঙ্গের আড্ডায় মশগুল হয়ে হারিয়ে যাবো
তোমার চোখের মায়ায়।
একটা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি খুঁজবে তোমায়
তোমার কালো টিপ বলবে হয়তো
অপরিচিত কোনো কথা
চমকে উঠে হাসবো নিজের মনে।
শাড়ি পড়ে চলো রমনার কালীমন্দিরে
জগত মাতার আর্শীবাদে কিছুটা ফুরসত খুঁজি
চোখের শুভদৃষ্টির বিনিময়ের
এক ধাপ আরেক ধাপ নতুন করে হাসি
চলো একসাথে ফুচকা খেতে বসি রাস্তার পাশে
পাগলের মতো জোরে গেয়ে উঠি কোনো গানে।
তুমি এসো কোনো গোধূলির আলোয়
মুক্তোঝরানো হাসিতে আলোকিত করিও আমায়
তোমার চুলের এলোমেলো উড়ে চলা
আমার মনে রঙ আঁকবে গোধূলির ক্যানভাসে।
দেবী তুমি! এসেছো এই আগন্তুকের গ্রহে
সৃষ্টির হোতার লীলা আমি দেখছি; নিজের চোখে
তোমার সুরে ভাসছি প্রজাপতির মতো
যেন রঙধনু উঠেছে আমার নীলাকাশে।
আমি অপেক্ষা করছি
এসো তুমি
এসো তোমার মতো
আমি ধৈর্য ধরতে পারবো
এসো সময় করে
শীতে নয়তো বর্ষায়।
একটা ছোট্টো দিনে সকাল দেখবো তোমার সাথে
একটা ছোট্টো রাতে জোনাকি খুঁজবো
তুমি আর আমি।
এসো তুমি ডক্টর হয়ে
দাঁড়িয়ে আছি, থাকবো এখানেই
রবীন্দ্র সরোবরে হাঁটবো একসাথে।