ধরে নাও আমি আর আর বেঁচে নাই
যেন একটু আগেই আমার দেহ থেকে আত্মাটা উড়ে গিয়ে
দূরে কোথাও হারিয়ে গেছে।
আমার সদ্য প্রেমিকা হয়ে তখন তুমি কি করবে? বলো কি করবে?
অথবা ধরো, আমার দু’বছর আগে জন্ম নেয়া মেয়ে শিশুটির মা তুমি;
আমি কেবল গাঁয়ের হাট থেকে ফিরেছি।
ঠিক সন্ধ্যায় বাড়ির উঠোনে দাঁড়াতেই
হঠাৎ হুমরি থেকে পরে গেলাম।
শিশুটি পাশে কাঁদছে, বৃদ্ধ মা বারান্দা থেকে নাম ধরে ডাকছে!
পাশের বাড়ি অনেকে মুখে জল ছেটাতে চলে এসেছে।
আমার তিন বছরের সহ ধর্মীনি হয়ে তখন কি করবে? বলো কি করবে?
ধরো আমি বেঁচে নাই বহুকাল।
সমাধির চিহ্নটুকু খুঁজে পাচ্ছনো এখন।
আমার সাথে কাটানো দু’একখানা স্মৃতি হয়তো মনে পরবে।
সেই যেমন বজ্র ধ্বন্নিতে বৃষ্টি হতো তোমার অলস বারান্দায়;
কাঁশফুল ছুঁয়ে যেত তোমার আঁচল।
ধরো আমি ফিরবোনা কখনও তোমার দ্বারে
রাতের পর রাত কাটবে, বিছানার একপাশ পরে রবে ফাঁকা
পাখির ডাকে ভোর হবে হাজার বার
অথচ আলতো ডাকে ঘুম ভাঙাতে পারবে না আর।
বলো, কেমন যাবে তোমার বেলা, বলো কেমন কাটবে?
ট্রাংকের এক কোনে ফেলে রাখা একটা ছেড়া শার্ট
হয়তো মাঝেমধ্যে আধো আলোতে বের করে গন্ধ শুকবে।
আমার স্বাদের দোতারাটায় হাত বোলাতে ভুলে যাবে।
ঘনিষ্ঠ কিছু রাত, খুঁটিয়ে খাবে কলিজা!
তখন প্রিয় নামে ডাকবে না? বলো ডাকবে না?