তিন রাস্তার মাথায় একটা বটগাছ।
সেখানে নানারকমের পাগল সন্ধ্যা শেষে হাট মিলায়।
মানুষের ব্যস্ততা যেন তাদের ছুঁতে পারেনা
মনে হয় পাগলরা জন্মায় শুধু গাছের জন্যই।
দিন শেষে ওদের সাথে চা খেতে ভালোলাগে।
মনের মধ্যে থাকেনা কোনো যন্ত্রনা
কিছু সময়ের জন্য ভুলে যাই সংসার, দায়িত্ববোধ,
জয়-পরাজয় এমনকি নিজেকেও
শুধু থাকে ভয়, ভালোলাগে কেবল
স্রষ্টার কাছে মাথা ঝুকে বসে থাকতে।
নিজেকে শুদ্ধের জন্য
একটা আদালত বানিয়েছি এইখানে।
আমরা কেবল চারজন আসামী।
এক দুই করে বারো রকম ধারার মধ্যে চলতে হয়।
আষাঢ়, আমার প্রেমিকার এক রূপক নাম।
ওর নাম কেন যে আষাঢ় হলোনা !!
আষাঢ় হলেই বোধহয় ভালো হতো।
সারাক্ষণ অহেতুক সন্দেহ নিয়ে
মুখখানা কালি করে রাখত।
একদিন নিজস্ব আদালতের ধারা ভেঙ্গে,
লুকিয়ে; আষাঢ়ের সাথে ভাব মজাই।
সব সম্পর্কের মধ্যেই এক একটা প্রকৃতি থাকে
তার নিয়মে চলে সব।
আবার সব কিছুর ক্ষান্ত হয় বাস্তব প্রকৃতিতে।
নিয়ম মত ঝড়ের কবলে সব কিছু লণ্ডভণ্ড!
আষাঢ়ের সাথে দেখা নাই বহুকাল।
খুঁজতে গিয়েও থমকে গেছি হাজার বার।
কেউ যেন সুখে নাই,
সবাই এক চরকিতে বাঁধা পরে আছে।
আষাঢ় আমার এই ঠিকানাটা জানতো
রোজ সন্ধ্যায় দীর্ঘশ্বাস ফেলি এইখানে,
পাগলের মেলায়।