শেষ রাতের ট্রেনটা সবে
বেরিয়ে গেলো শহর ছেড়ে,
কান তালা তীক্ষ্ণ শব্ধে, যেন
বুঝিয়ে দিতে চায়, এ পথ শুধু আমার।
শহুঁরে প্রাণীরা তখনঁও
নিদ্রা-শয্যা প্রস্তুতিতে রত,
হয়তো অনেকে আবার এরই মাঝে
সমাপ্তি ঘটাল এক প্রস্ত নিদ্রা কালের।
নব্য ভূমিষ্ঠ শিশুদের অকারণ জানান দেয়া-
এই পৃথিবী বরই অচেনা,
এই আঁধার ভীষণ অপছন্দ।
কিম্বা নব্য বিবাহিত কোন দম্পতীর
প্রেমময় খুনসুটি শেষে
নিঃচুপ ভালবাসার মধুক্ষণ।
হয়তোবা কোন জননী কিম্বা বধুর
নির্ঘুম অপেক্ষা- স্বামী-সন্তান
তখনও না ফেরার দুশ্চিন্তায়-
আজে বাজে কত বিরক্তি কল্পনা
অস্তির প্রতীক্ষা।
অন্য সব নিত্য দিনের মতই
সেই রাতের শহর,
হটাৎ যেন সবই অচেনা এলোমেলো
অন্ধকারের বুক চিঁরে ঝলসে উঠা
মৃত্যু আলো, বজ্রহুংকারে
প্রাণনাশের নির্দয় ঘোষণা
রাক্ষুসি কামানের গোলা।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো বন্দুকের হিংস্রতা, রাইফেল
রক্ত পিপাসু হায়েনার দল, লোভী জিব মেলে
নিঃসহায় মানুষের বুকের তাজা রক্ত পানের নেশায়
রাতের শহরে তাদের উন্মাদ অন্বেষা।
বাতাসে বারুদের গন্ধ
আর বিপন্ন মানুষের হাহাকার,
দিকভ্রান্তি আর্তনাদ, দুর্দৈব হুড়োহুড়ি,
প্রাণ বাঁচানো তীব্র প্রচেষ্টায়
অসহায়ত্ব অভিব্যক্তি চোখে মুখে,
স্বজন হারানো অচেনা ব্যথার স্বাদ।
মানুষ কত নির্মম,
মানুষ কত অসহায়, মানুষের মৃত্যু
সেই ভয়াল রাত্রিটি নিয়েছিলো
মানুষের লজ্জা।