কে যেন চেয়েছিলো এক’মুঠো ভালোবাসা,
সকাতরে করেছিলো নিবেদন- সমস্ত প্রেম তার
হৃদয় উজাড় করে- দিয়েছিলো গেঁথে
অবারিত ভালোলাগার পুষ্প মল্যে,
লিখেছিলো এক অসহায় প্রেমের পান্ডুলিপি।
পেয়েছিলো কি’না জানা নেই- সেই প্রেম তার,
হারিয়ে সে গিয়েছিলো মহাকালের অবাধ্য স্রোতে।
কেউ আর রাখেনি তো মনে, সেই তাকে-
স্মৃতির দেয়ালে রাখেনি তো লিখে নাম তার,
পড়বে মনে যদি আগামীর কোন অলস রাত্তিরে!
অজান্তে তাই হারিয়ে গেলো সেই প্রেম মালতি।
সেই অপরূপার মায়ার পরশে জুটেছিলো শিহরণ
কত যে অবুঝ প্রাণে- যৌবন নদীর জল
উছ্বলে পড়েছিলো ডাঙার ‘পরে
ভিজিয়ে দিয়েছিলো মানুষের শরীর।
কল্পনাদের মুক্ত বেলকনিতে সূর্য্যের আলোয়
পড়েছিলো কত উৎস্যুক উঁকি ঝুকি-
বাউন্ডুলে আড্ডা-গল্পের ভিড়ে ধোঁয়া উঠা সিগারেটে
গিয়েছিলো ছড়িয়ে সেই রূপসী পরমার কাহিনী,
বিষাদ চোখে কত যে স্বপ্ন দেখা চোখেদের
ঠাট্টা-তামাশার আয়োজনে- নিঁখোজ বনলতা সে এক,
আর পথ নিয়েছিলো খুঁজে অন্ধকার অলিগলি-
স্বপ্ন ভাঙার দল।
ইচ্ছের প্রেম হয়- লালসায় ভোগ মানসের উচ্ছ্বাসে-
জেগে উঠে প্রেম উষ্ণতায় ক্ষণিকের হৃদ-স্পন্দন,
সেই প্রেম ইতি টেনে যায় রাত পোহাবার আগেই,
হৃদয়ের হালখাতায় হয়না লিখন উপস্থিতি,
রৌদ্দুর আলিঙ্গনে জড়ানো থাকেনা-
পৃথিবীর উদার্ত আলোয়, না বলা কথারমত
আড়াল করে ফেলে তাকে
সূর্য্য ডুবার কালে আঁধারের স্বন্ধ্যারা,
রাতের আয়োজনে ঘুমন্ত সকলের অগোচরেসে
খুলে ফেলে আবরণ তার- বিষাদের তিক্ততায়
ঘুমহীন অস্থির প্রাণে ভর করে মৃত্যুর অভিশাপ।
কত চোখ স্বপ্ন এঁকেছে সেই প্রেয়সীর রূপে,
হৃদয়ে ক্লান্তির ঘুম শেষে প্রভাতের বুকে
ছুড়ে ফেলেছে সব নিত্য নতুন ভাবনার দ্রোহে,
শুধু এক সে’ই একেলা জিবন-
রেখেছে ধরে স্মৃতির বুকে-
এই চোখ তার নির্ঘুম কাটে- চিরতরে, অসাধ্য জেনেও
বৃথা খুঁজে মরে, আমরণ- অপেক্ষা আর
দুঃস্বপনেই আবৃত গোটা এ জিবন।
বয়েসের তিথী ম্লান করে দেয় অনবিল আকর্ষন-
তীব্রতা হারিয়ে কখন মুছে যাওয়া স্মৃতির ভাঁজে
নিরর্থ পড়ে থাকে অব্যক্ত কবিতারা,
অবুঝ মন হারিয়ে যাওয়া প্রেম-বিষাদের গল্প লিখেই
চুপিসারে সেধে নেয় পরাজিত জিবন।
অখন্ড ভগ্নাংশ
। Isolate Isthmus