আরেক বার যেতে চাই সেই
রৌদমাখা বিকেলের আঙ্গিনায়-
মেঠো পথ-ধূলোমাখা শরীর-
জীবনটা যেন ভরা শুধু আনন্দ অনাবিল-
সপ্নীল এক খেলাঘর।
আরেক বার সেই মাটি ও মানুষের বুকে
আমি খুঁজে নিতে চাই হৃদয়ের সন্মিলন,
মিশে একাকার তোমার- আমার-
আর আমাদের ছোট ছোট স্বপ্ন- হাজার,
সবুজের বুকে উদার বিছানায় শুয়ে শুয়ে-
আঁকবো আবার আকাশের মেঘে মানুষের মুখ,
পাখিরা উড়ে চলে গেলে দল বেঁধে-
আকশের পথ ধরে, বাঁধায় পড়ে চিত্রকলায়-
জুড়ে যাবে চোখ অপরূপ বিমুগ্ধতায়।
আবারও ইচ্ছে করে ফিরে যাই সেই
নতুন ধানের শিষে-
ফসলের বোঝা কাঁধে
ঘর ফেরা কৃষকের পিছু পিছু-
সন্ধ্যা নেমে এলে অন্ধকার চারিদিক,
ঢুলু ঢুলু চোখের পলক যাবে ছুটে-
ওই দূর আকাশের বুকে-
যেখানে চাঁদ মামা এসে
বসে আছে গল্প বলার আসরে,
চুপচাপ রাত্রিনি হিমেল বাতাসের সুরে
ঘুম দেবে জুড়ে ছোট্ট শরীর চোখে-
এনে দেবে প্রশান্তির বারতা।
এই মন পড়ে আছে আজও সেই
রাত্রির গভির পাটে-
ছম ছমে গা ডাহুকের ভয়াল আর্তনাদে,
বহুদূর পানে কোথাও ঢাকের তালে তালে
কানে বেজে খেঁক শিয়ালের বিকট হুঁশিয়ারি!
ভিরু মন কেঁপে থরথর- শরীর ক্লান্ত ঘুমে।
তারপর মেঘেদের সোনালী আঁচল জুড়ে-
সকালের পবিত্রতা,
পূবালী আকাশের দ্বার খুলে
উঁকি দেয়াসূর্যের হাঁসি হাঁসি মুখ।
মনে পড়ে দূপুরের ক্লান্ত শরীর-
অবাক সাঁতারে বাঁধ ভাঙা খুশীর জোয়ার-
লাল দীঘিটার এপার-ওপার-একাকার,
তারপর লাল বুড়োটার কর্কশ হাঁক ডাকে
তড়ি ঘড়ি পালিয়ে যাওয়া ছুটে-
পুকুরের জল ছেড়ে- উলঙ্গ ভেজা শরীর,
কচি কচি কত যে মুখ-
একাত্ম পৃথিবীটা ভালোলাগায়,
জিবনের আলোড়নে মুখরিত সমস্ত প্রকৃতিরা-
ফেলে আসা সেই সোনালী ছেলেবেলায়।
আরেক বার শুধু সেই বিকেলের ঘ্রাণে
বুক ভরে নিতে চাই স্বাধীনতার নিঃশ্বাসে-
সেই ছোট্ট গাঁয়ের বুকে নিষ্পাপ ভালোবাসায়।
অখন্ড ভগ্নাংশ
Isolate Isthmus