খুলে দাও দরোজাটা একটুকু ফাঁক করে
একটু পলক বুলাই আমি-
তোমাদের এই শুভ্র দুনিয়াটায়,
একটু নজর ভরে দেখে নিই –
তোমাদের এই ভরাট আলোর মহাকালে
কেমনে তোমরা সাজিয়েছো জিবনধারা,
আর সুখ সুখ আবেশে জড়িয়ে আছে
তোমাদের কল্পনাদের বাগান সারা!
বুঝিনা কেমন করে এই স্বার্থপরতার পৃথিবীতে
তোমরা গড়ে তোলো সখ্যতা,
মনের সাথে মনের মিলন জুড়ে নিঃশব্দে কর
ত্যাগ-তিতিক্ষা তোমাদের সব স্বার্থগুলোর!
কি করে বল পারো তোমরা-
পুরনো সে সব বুকভরা স্মৃতিগুলো
ভুলে যেতে এক নিমেষে,
প্রিয় সেই মানসীর চোখ ভুলে
অন্যকারো অচেনা চোখের ঘরে
ঠায় পাতো অবলীলায়!
বুকের নিঃশ্বাসের ভাঁজে ভাঁজে তোমরা
মুহূর্তেই বদলে ফেলো মনের ঠিকানা,
অতীতের যতসব চিহ্নগুলো শূন্যে ভাসিয়ে দিয়ে,
যেন আর কোনকালে যায়না পাওয়া অস্তিত্ব তাদের;
সবকিছু জেনে বুঝে, সবকিছুই বুঝে শুনে-
তোমরা কর অজান্তার অভিনয়, নিদারূন দক্ষতায়।
বোধকরি তাই তোমাদের ভাবের আদান-প্রদানে
এতসব অকারণ হাসিমুখ, আর ভনিতার ছড়াছড়ি,
জীবনের প্রাণহীন ভালবাসা-প্রেম উঠে গড়ে
মুহূর্তেরই পলকে, আবার পরক্ষনেই ভেঙ্গে চুরমার,
যায়না বোঝা আছে কি টিকে, নাকি শূন্যতা-
বিপরীত পথ পাড়ি দিয়ে শেষ বিচ্ছেদের সমাহার!
আসলে এই জীবনটাই এক মরিচিকা, রঙিন নেশা-
ক্ষনিকের মেঘ, প্রতীক্ষাতে এক পশলা বৃষ্টির গানের,
টুটে গেলেই মেঘ সূর্যের সত্যতা, নিরেট সত্য যা-
মিথ্যে- বৃথা সবই এই ভালোবাসা-ভালোলাগা
মন দেয়ানেয়া শরীরের আকর্ষণে, দুজনের গল্পে
সবই রূপকথার কাহিনী, মনগড়া রীতিনীতি
শুভংকরের ফাঁকিতে গড়া সব মিথ্যে সমীকরণ।